গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর শহরের কালিবাড়ী বাজারের মিষ্টি হাটির তিন মিষ্টির দোকানির নিকট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে ৪৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়,৫ অক্টোবর বুধবার বিকাল ৫ টার পর পলাশবাড়ী হাট বাজার ব্যবসায়ির সভাপতি মোবাইলে এক ব্যক্তির সাথে মিষ্টি ব্যবসায়ি সুমন মিয়ার কথা বলে দেন। মোবাইলে অপর পাশ থেকে কথা বলা ব্যক্তি নিজেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনারা কয়জন মিষ্টি দোকানি রয়েছেন। আমরা আপনাদের দোকানে ও বসতবাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করবো এরপর জরিমানা করা হবে। এসময় আনুমানিক জরিমানার কথা বলেন আড়াই লাখ টাকা। একথা শুনে মিষ্টি দোকানি মোবাইল কেটে দেন। এরপর আবার সেই নাম্বার হতে মিষ্টি দোকানীর নাম্বার ফোন আসে তিনি মোবাইলের কল কেটে দেওয়ায় ধমক দিয়ে বলেন, তারাতারি জানান আমরা আপনাদের দোকানে ও বাড়ীতে যাবো কিনা। তখন হাট বাজার সমিতির সভাপতি আযম আলী ও তিন মিষ্টি ব্যবসায়ি অনুনয় বিনয় করে প্রতিজনে ১৫ হাজার করে ৪৫ হাজার টাকা প্রদান করেন৷ তাদের দেওয়া ৪৫ হাজার টাকার কোন রশিদ প্রদান করা না হলে মিষ্টি ব্যবসায়িদের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি করে এরপর একান দুকান করে গণমাধ্যমকর্মীদের শরণাপন্ন হন। মিষ্টির দোকানিরা হলেন সুমন মিষ্টি ভাণ্ডারের মালিক সুমন মিয়া,সুমনা মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক ইউনুছ আলী, মামুন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক মামুন মিয়া। তারা উক্ত ঘটনায় প্রতারণাকারী ব্যক্তিদের চিহৃিন্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য হাটবাজার ব্যবসায়ি সমিতির সিদ্ধান্তক্রমে থানায় অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসময় তারা উপরোক্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ঘটনার পর হাট বাজার সমিতির সভাপতি গোলাম আযম সাথে কথা বলতে তার মোবাইল একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়৷ তবে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের ওএস সাইফুল ইসলাম জানান, আজ বিকালে এক ব্যক্তি নিজেকে ম্যাজিস্টেট পরিচয় দিয়ে মোবাইল করে আমার নিকট হাট বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি'র মোবাইল নাম্বার নেন। এর চেয়ে আর বেশী কিছু আমি জানি না। তিনি আরো বলেন, এখন শুনছি সেই ব্যক্তিরা মিষ্টি ব্যবসায়িদের নিকট টাকা নিয়েছেন। আমি এ ঘটনায় আইনগত সহায়তা চেয়ে থানা একটি জিডি করবো।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন জানান,দশমীর প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছি তারপরে ছুটির দিন। এমন অভিযানের বিষয়ের তার জানা নেই।
থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান,বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।