ঠাকুরের কবিতা পড়ে তাঁদের ছান্দনিক নান্দনিকতা আমাকে কবিতা লিখতে উদ্বুদ্ধ করে। ছোটবেলা থেকেই আমি ক্রিয়েটিভিটি পছন্দ করতাম এবং অযৌক্তিক আচরণ বা কথা মেনে নিতে পারতাম না, এসব থেকেই আমি কলমে প্রকাশ করতাম ও আমার আব্বাকে দেখাতাম। আমার হাতের লেখাও ছিলো ছোটবেলায় নাকি ভালো। আমার পরিবেশও আমাকে উদ্বুদ্ধ করতো লিখতে। এরপর আমার স্কুল শিক্ষকরাও খুব ছোটবেলা থেকেই হাতের লেখা আমার পড়া, ক্লাসে ভালো রেজাল্ট করা ও শান্ত প্রকৃতির আমার কথা বলার ধরণ তাদের উদ্বুদ্ধ করতো তাই যে কোন প্রোগ্রামেই আমাকে সামনে আনতেন তাঁরা, এগুলো আমার জন্য প্লাস পয়েন্ট হয়ে উঠে।প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা শুধু মাত্র আমার জন্য দেয়াল পত্রিকা ও ম্যাগাজিনের লেখার ব্যবস্থা করে দেন তাতে করে যারা লিখতে পছন্দ করতো বা লিখতে চাইতো তারা আমার কাছ থেকে শিখতো ততদিনে আমার একটা দিক উন্মোচন হয় তা আমি যে কোন পরিস্থিতিতেই কবিতা বলতে পারা তাই আমাকে অনেকেই উপস্থিত কবি হিসেবে জানেন, বিশেষ করে আমার আব্বা।
আমার কলেজের নবীণ বরণেও আমি উপস্থিত বক্তৃতা সহ কবিতা উৎসর্গ করে পাঠ করি। আমার আব্বা ও আম্মা আমার সবচেয়ে বড় পাঠক এবং আরেকজনের নাম না বললেও নয় তিনি আমার ছোট চাচা। এসবই সম্ভব হয়েছিলো আমি একটা ভালো স্কুলে পড়ার জন্য। তবে আমার বাংলা ম্যাডাম আমাকে বলতেন, ব্যাকরণটা রপ্ত করতে যা আমি মেনেছি এবং ইংরেজি শিক্ষক আমার আরেক ইন্সপিরিশন ছিলেন।
শিক্ষা জীবন শুরু হয় আমার ঢাকার শহীদ রমিজউদ্দীন স্কুল থেকে এরপর ঢাকা ক্যাণ্টঃ পাবলিক। আমার আব্বা একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। সেই থেকে আমার লেখা থামেনি তবে খুব ছোটবেলায় বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে সাহিত্যে আমার বাধা আসে এবং আমি আর এগুতে পারিনি তবে থেমে থাকিনি। টার্গেট ছিলো আমার তিন কন্যাকে মানুষ করবো এবং তাদের পেছনে ও রেজাল্টের জন্য অদম্য পরিশ্রম করতে হতো । আমি লেখাপড়াও করেছি সংসারের পাশাপাশি ও সন্তানও মানুষ করেছি। তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত আজ ও তিন মেয়েই আমার ঢাকায়। ছোট মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার থার্ড ইয়ারে। শিক্ষকতার ২৫ বছর পার করেছি। বড় ও মেজো মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। তাদের একজন করে সন্তান আছে। দুই জামাতা আমার ইঞ্জিনিয়ার। বড় নাতি এবার ক্লাস টুতে ঢাকার একটি ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে পড়ে ।
হাসবেণ্ড ২০২১- এ রিটায়ার্ড করলেন। তিনি একজন সরকারি কর্মজীবি ছিলেন জয়পুরহাট জেলায় এবং জীবনের অধিকাংশ সময় কাটালাম স্বপরিবারেই । বর্তমানে আমরা একসাথে আমার নিজ গ্রাম চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে দোতালা বিশিষ্ট একটি ছোট বাড়ি নীলের ছোঁয়াতে বসবাস করি। আমার উপন্যাস নীলের ছোঁয়া অবলম্বনে আমার বাড়ির নাম দিয়েছে আমার হাসবেণ্ড তা একা কথায় আমাকে সাপোর্ট করেছেন এটি আমার কাছে নোবেল পাওয়ার মতো। দোয়া করবেন আমার স্বামীর সুস্বাস্থ্যের জন্য।
বর্তমানে লেখালেখির পাশাপাশি সংসার ও গ্রামের বেশকিছু শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাদের লেখাপড়ায় সাপোর্ট করছি ও শিক্ষাদান করছি । দোয়া করবেন আমার জন্য ।
অনেকের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলাম ।
সবশেষে সাহিত্যের কিছু বার্তা জানিয়ে শেষ করবো ।
শিক্ষক, কবি, লেখক, সম্পাদক, আবৃত্তিকার, সংগঠক ও কবিতায় রুবীলিক ধারার প্রবর্তক ---
সৈয়দা রুবীনা
বাবার চাকুরিসূত্রে জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে ।
নিজ জেলা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সদর
সাহিত্যে রচনাকাল : ৪৩ বছর
রুবীলিক ধারার প্রবর্তক আমি ও এ ধারার লেখার সৃষ্টিকাল ১৯৯৮ খ্রী.
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ২০১৮ - তে আমি যৌথভাবে ২য় স্থান অধিকার করি ।
সেইবারই ঢাকায় ৬৪ জেলার প্রতিযোগিতায় কাব্যসাহিত্য উত্তরবঙ্গ জয়পুরহাট জেলা থেকে আমি প্রথম স্থান অধিকার করি ।
সাহিত্যে বিশেষ বিশেষ সম্মাননায় আজ আমি কবি ও লেখক, সম্পাদক, অনুবাদক, সংগঠক, আবৃত্তিকার, কবিতায় রুবীলিক ধারার প্রবর্তক সৈয়দা রুবীনা ।
এখন প্রকাশিত একক বই সমুহ : ৬ টি
উপন্যাস - ১/নীলের ছোঁয়া ,
২/ কাব্যগ্রন্থ - চেতনায় বঙ্গবন্ধু,
৩/ কাব্যগ্রন্থ - ১২ ফর্মার ইংরেজি নিজ অনুবাদ করা
" শ্রেষ্ঠ অনূদিত কবিতা "--- বইটিতে নিজ ধাঁচের অক্ষরবৃত্তে ৬৪ টি লেখা তিন লাইনেই মহাশক্তি সৃষ্টি করেছি আমি। তাছাড়া আরও কবিতা নিয়ে বইটি প্রকাশিত।
৪/ গল্পের বই --- জল- জোছনায় গল্প
৫/ শিক্ষায় ও সমাজের আয়না রুবীলিক --- কাব্যগ্রন্থ
৬/ মদীনার ঐ রশি ধরে --- ইসলামী গীতিকবিতা
উল্লেখ্য ঢাকা বইমেলায় বইগুলো প্রকাশিত।
২ টি বই প্রকাশের পথে।
যৌথ কাব্যগ্রন্থ মোট ৫৬ টি।
ধন্যবাদ আপনাদের । আবার আমার মেমোরি রিপিটেশন হলো। শুভ সকাল ।