মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
এ কেমন বর্বরতা! পাষন্ড স্বামী আগুন দিয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, পুলিশ প্রসাশনের নেই কোন ভূমিকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোরের অভয়নগর উপজেলার সরখোলা গ্রামের হালদার আলীর মেয়ে আয়শা আক্তার তিলা(২৩) কে তার স্বামী যৌতুকের দাবিতে অমানুষিক নির্যাতন করে শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার চানপুর গ্রামে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়িতে। গৃহবধূর মা আলেয়া বেগম জানান, গত বুধবার ২৬ জুলাই সকালে গৃহবধূর স্বামী কালিয়া উপজেলার চানপুর গ্রামের রউফ সিকদারের ছেলে ইমরান শিকদার স্ত্রী'র কাছে যৌতুক দাবি করে। গৃহবধূ যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামী ইমরান তাকে অমানুষিক নির্যাতন করতে থাকে, এক প্রর্যায় ওই গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, অবশেষে স্বামী ইমরানসহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা ওই গৃহবধূর শরীরে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। হঠাৎ ওই গৃহবধূর চাচি শাশুড়ী ঘটনা দেখে গৃহবধূর শরীরে আগুন নিভিয়ে রক্ষা করেন। পরে ওই গৃহবধূর পিতাকে খবর দিলে তিনি মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মূমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি করেছেন। গৃহবধূর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী নওয়াপাড়া বাজারে চানাচুর বিক্রি করে, অভয়নগর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ কোন অভিযোগ গ্রহন করেনি এবং নড়াইল যেতে বলে তাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরো জানান, আমরা গরীব অসহায় মানুষ বলে কি পুলিশের কাছে কোন সহযোগিতা বা বিচার পাবোনা? এটা কেমন ধরনের অবিচার? আমার মেয়েকে যে ভাবে তার স্বামীসহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা আগুনে পুড়িয়েছে তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই দেশে, সভ্যসমাজে পুলিশের সহযোগিতা পাবোনা কেন? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। বর্তমানে ওই গৃহবধূ মূমূর্ষু অবস্থায় অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ওয়ার্ডের ৭নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এবিষয়ে সচেতন মহল জরুরিভাবে পুলিশ প্রসাশনের কাছে দাবি করে বলেছেন, অনতিবিলম্বে গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টাকারী স্বামীসহ জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।