মাটি মামুন রংপুর।
পীরগাছায় ভাগনের ছুরির ঘাতে খালুর মৃত্যু খালা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল ১লা সেপ্টেম্বর পীরগাছা থানা
উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের জিগাবাড়ি গ্রামে।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খালুর মাথা বিচ্ছিন্ন করেছেন এবং খালা কে ছুরির ঘাতে রক্তাক্ত করেছে রিপন মিয়া(২৫) নামের এক যুবক।
গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের জিগাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা অভিযুক্ত রিপন মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় খালুর মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।
নিহতের নাম আব্দুল হামিদ মিয়া(৭০) তিনি ওই গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুম্মার নামাজ শেষে জামাতা রহিম মিয়ার বাড়ির সামনে গিয়ে বাঁশঝাড়ের নিচে বসেন আব্দুল হামিদ।
এ সময় মেয়ে হামিদা বেগমের কাছে দুপুরের খাবার খেতে চান তিনি।
এরই মধ্যে হাসুয়া নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পাশের বাড়ির শ্যালিকার ছেলে রিপন মিয়া।
জীবন বাঁচাতে দৌড়ে পালানোর সময় মাটিতে পড়ে যান আব্দুল হামিদ।
এ সময় রিপন মিয়া ধারালো হাসুয়া দিয়ে এক কোপে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন এতে ঘটনাস্থলেই হামিদ মিয়ার মৃত্যু হয়।
এসময় সেখানে তার খালা লতিফা বেগম আসলে তাকেও ছুরির ঘাতে রক্তাক্ত করেন।
বর্তমানে খালা লতিফা বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা ধিন অবস্থা আছেন।
খবর পেয়ে নিহত হামিদ মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেন পীরগাছা থানা পুলিশ।
পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অন্নদানগর ইউনিয়নের সাতদরগা আমপাইকর এলাকা থেকে রিপন মিয়াকে আটক করা হয়। রিপন মিয়া একই গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে খালু আব্দুল হামিদের সঙ্গে ভাগনে রিপনের পারিবারিক বিরোধ ছিল।অভিযুক্ত রিপন মিয়াকে আটক করা হয়েছে।