মো সাব্বির হোসেন বিপ্লব
হিলি, দিনাজপুর প্রতিনিধি
বিগত ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের নামে দেশের মানুষের সাথে তামাশা করেছে। রডের বদলে বাঁশ উপহার দিয়েছে। সিমেন্টের সাথে ছাই মিশিয়ে দিয়েছে। তারা দেশের মানুষদের শান্তিতে থাকতে দেয় নাই। দেশের ২৬ লক্ষ্য কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা জামায়াতের নেতাকর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন সহ বিচারের নামে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। তাদের অত্যাচর নির্যাতনের কারণে জামায়াতের নেতাকর্মী ঘরে থাকতে পারে নাই এবং বিগত সাড়ে পনের বছর আমরা শান্তিমত রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারি নাই।দিনাজপুর জেলা জামায়াতের ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলন এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল দশটায় জেলা গোর-এ শহীদ ময়দান( বড়মাঠে) জেলা জামায়াতের আয়োজনে ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মোঃ আনিসুর রহমান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
কর্মী সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, এই দেশকে আমরা সবাই ভালোবাসি, তবে একটি দল ক্ষমতায় এসে মনে করেছিল যে, তারা একমাত্র স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে ভালোবাসে, আর কেউ ভালোবাসে না। মানুষের শরীরের ঘাম ঝরিয়ে ফসল ফলায়, অন্যরা তা চুরি করে বিদেশে পাচার করে। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে দিনাজপুরে শহীদ রুদ্র সেন এর স্মৃতিচারণ করেন।
ডা.শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা তো অনেক সংস্কার হাতে নিয়েছেন। তাহলে বিগত সময়ে যারা মানুষের জুলুম নির্যাতন করেছে, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি সহ মানুষকে বিচারের নামে খুন করেছে তাদের কালো তালিকা প্রকাশ করুন। আমরা সকল অন্যায়ের বিচার দাবি করেছি এবং সকল হত্যার বিচার করতে হবে।
দিনাজপুর কর্মী সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহ সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, মাহাবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক, সহ সেক্রেটারি রাজিউর রহমান পলাশ, সাইদুল ইসলাম সৈকত, জেলা জামায়াতের শূরা সদস্য উপজেলা আমীর মোঃ আমিনুল ইসলাম সহ আরও অনেকে।
সর্বশেষে, দিনাজপুরে বৈষম্যহীন, শান্তির ধর্ম ইসলাম এবং কোরআনের দাওয়াত এর কাজ করে দেশের শান্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।