বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া সদর থানা পুলিশ সাত শিমুলিয়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন।
নাজমা বেগম সাতশিমুলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের শহিদ হোসেনের স্ত্রী এবং বগুড়া সদরের গোকুল মধ্যপাড়ার কামাল হোসেনের স্ত্রী।
জানাগেছে, শহীদ হোসেন প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ১৪ বছর আগে নাজমা বেগমকে বিয়ে করে। তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ছয় মাস আগে স্বামী- স্ত্রী ঢাকার হেমায়েতপুর এলাকায় একটি গার্মেন্টেসে কাজ নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন। ওই এলাকায় নাজমা বেগমের শ্বাশুড়িও বসবাস করে গার্মেন্টসে কাজ করেন।
নাজমা বেগমের ভাই সোবাহান জানান,গত ২১ আগস্ট তার ভগ্নিপতি ফোনে জানায় নাজমা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে ফোন করে জানানো হয় নাজমা মারা গেছে।তার মরদেহ সাতশিমুলিয়া গ্রামে আনা হচ্ছে। এরপর দুপুরে নাজমার মরদেহ গ্রামে এনে তড়ি ঘড়ি করে দাফনের প্রস্তুতি নেয় স্বামীর বাড়ির লোকজন।খবর পেয়ে নাজমার ভাই ও গ্রামের কয়েকজন নারী সাতশিমুলিয়া গ্রামে পৌছে মরদেহ দেখতে চায়।এসময় স্বামীর লোকজনের দাফনের জন্য তড়িঘড়ি এবং সন্দেহজনক আচরন শুরু করে। নাজমার ভাই বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানান। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নারী পুলিশ দিয়ে মরদেহ দেখে সন্দেহ হলে দাফনে বাধা দেন। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তরের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
নাজমার ভাই সোবাহান আরো জানান, মরদেহের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও ঢাকায় যাওয়ার আগে তার বোনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল স্বামী শহীদ। একারনে তাদের সন্দেহ নাজমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) জাকির আল আহসান বলেন, মরদেহে আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হওয়ায় দাফন করতে দেয়া হয়নি। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।