বাঁশের সাঁকোই পয়ারীর ৫গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ দুর্ভোগে চরমে–

বাঁশের সাঁকোই পয়ারীর ৫গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ দুর্ভোগে চরমে–

সারা দেশে জেলা উপজেলা মহিলা ও পুরুষ প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে,
যারা আগ্রহী যোগাযোগ 01714348197 দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা

জুয়েল রানা বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিংহ ফুলপুর

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের
গুপ্তের গাঁও, খরিয়া নদী উপর ওপর সেতু না

থাকায় ভোগান্তিতে রয়েছেন ৫ গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ। প্রতিদিন নদীর ওপর গ্রামবাসীর তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের।

সেতু না থাকায় স্থানীয় পয়ারী আলিম মাদরাসা, পয়ারী গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় বিদ‍্যালয় ও বাহাদুরপুর আনজুমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই

ঝুকিপুর্ণ সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। এতে সাঁকো ভেঙে একাধিকভার আহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও নেই সাঁকোটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটলে

আহতদের মিথ্যা সান্তনা,আর সেতু নির্মাণে ভুয়া আশ্বাস ছাড়া এলাকাবাসীকে কিছুই দিতে পারেনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

ফলে
প্রতিদিন রাত পোহাতেই এই সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসতে যেতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

পয়ারী ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল সরকার বলেন শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পারা পার হতে হচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষ কৃষি উপর নির্বব্বর নিত্য

প্রযোজনী কাচা মালামাল সময় মত বিক্রি করতে পারেনা রাস্তা আছে ব্রিজ নেই বলে চরম দুর্ভোগে স্কুল শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসী । এতে সাঁতার না জানা শিক্ষার্থীদের নিয়ে আশঙ্কায় থাকেন

অভিভাবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পার হওয়ার সময় ভয়ে থাকে সবাই।

স্হানীয় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান ৫টি গ্রামের মানুষ ব্রিজ না থাকাই দুর্ভোগে চরমে গুপ্তের গাঁও শুনই মলাকান্দী ধরীমহদপুর শাহপুর নাইকেলতলা কোন উদ্যোগ নেই জন প্রতিনিধি

দের। স্হানীয় আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টার,সামছদ্দিন সরকার, আইনুল হক,ও ফারুক মিয়া, জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে ২/৩শত ছাত্র ছাত্রীদের আনাগোনা করে ৫টি গ্রামের হাজারো মানুষের পারাপার হয় এই বাঁশের সাঁকোদিয়ে রাস্তাটি ৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের বের হবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি কৃষি মালামাল আমদানি রপ্তানি করাসহ চরমে দুর্ভোগে এলাকাবাসী কিন্তু রাস্তার শুরুতেই বেশ কিছু অংশ বর্ষার পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়ার পর ১০/১৫ বছরের মধ্যেও এই ভাঙা অংশ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা । গুপ্তেরগাঁওসহ ৫টি গ্রামের লোকজন স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে অনেকবার আবেদন জানালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। বর্তমানে পয়ারী আলিম মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ‍্যালয় বাহাদুরপুর আনজুমান উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে প্রতিদিন এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হয়।

পয়ারী গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় বিদ‍্যালয় ও বাহাদুরপুর আনজুমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিশাল এ সাঁকো পার হয়ে আসতে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সাঁকো থেকে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। ছেলেমেয়েদের কষ্ট লাঘবে আমরা অনেকদিন ধরে একটি সেতু নির্মাণের দাবি করে আসছি। পয়ারী ইউনিয়নের গুপ্তের গাঁও, নদীর ওপর
একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকার বাসিন্দাদের অনেক সুবিধা হবে।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, সাঁকো ভেঙে গ্রামের লোকজন ও ছাত্রছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বর্ষার সময় পড়ে গিয়ে স্কুল পোশাক ভিজিয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে স্কুলে ক্লাস করতে হয়। পয়ারী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহাগ মোবারক খাদিজা ও জুঁই জানায়- তারা প্রতিদিন গ্রামের ভাঙা রাস্তার উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে থাকে। অনেক সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়। এসব শিক্ষার্থী এখানে স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে।

একটি পাকা সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা হলে শিশু শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুলে যাতায়াত করার সুযোগ পাবে। এ ব্যাপারে পয়ারী আলিম মাদরাসার অধ্যাপক মোঃ শাহ জাহান ফকির জানান, রাস্তা আছে ব্রিজ নেই বাঁশের সাঁকোয় পারাপারে দুর্ভোগে ছাত্র ছাত্রীসহ গ্রামের হাজারো লোকজন বর্ষার সময় যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগে । তবে চলাচলের একটি বাঁশের সেতু নির্মাণের এলাকাবাসির উদ্যোগে চাদা তুলে বাঁশের সেতু নির্মাণ করেন । এলাকাবাসী অভিযোগ করেন আমাদের ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কোন উদ্যোগ নেই। গ্রামবাসী মিলিত হয়ে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ পর্যন্ত আবদার জানিয়েছে তাতেও কোন কাজ হয়নি। আমাদেরকে দুই তিন বছর ধরে বলে আসছে টেন্ডার হয়েছে কাজ হবে। এই বিষয়ে পয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করার ব্যর্থ হয় মোঠু ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *