আজ বাংলায় পথচলা শুরু করল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ভারচুয়ালি রাজ্যের প্রথম সেমি হাইস্পিড ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে, হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে রেলের সবুজ পতাকা হাতে ট্রেন যাত্রার শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতায় এসে হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবে শুক্রবার ভোররাতে মৃত্যু হয় নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদির। মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে আমেদাবাদে যান তিনি। তাই কলকাতায় আসতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মাতৃহারা প্রধানমন্ত্রী কর্তব্যে অবিচল তাই তিনি বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ভারচুয়ালি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন। আর এদিকে রেলের সবুজ পতাকা হাতে হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের আগে যদিও হাওড়া স্টেশনে এক নাটকিয় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। হাওড়ায় অতিথিদের জন্য তৈরি মঞ্চে বসে থাকা বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জোর গলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলতে থাকেন। তা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছনো মাত্রই তাঁর শরীরের ভাষা বদলাতে থাকে। বোঝাই যায় অত্যন্ত বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হচ্ছেন তিনি। এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সঙ্গেই তা সামলানোর চেষ্টা করেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। হাতজোড় করে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন রেলমন্ত্রী। যদিও শেষমেশ মঞ্চে ওঠেনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে দর্শকাসন থেকেই বক্তব্য রাখেন তিনি। অংশ নেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও।
সেমি হাইস্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের ফলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত আরও সহজ হবে। মাত্র ৮ ঘণ্টার মধ্যে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। তবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ট্রেনের গতি কতটা হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়া হয়েছে বোলপুর, মালদহ টাউন এবং বারসোই স্টেশন। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্বমানের ট্রেনগুলিকে টক্কর দিতে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি পুরোটাই এসি চেয়ার কার। প্রতিটি আসন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরবে অর্থাত্ কোঁচে থাকবে রিভলবিং চেয়ার। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে ট্রেনের অন্দরেই।