কহিনুর বাউফল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।।
মাদ্রাসার শিক্ষক আরেক মাদ্রাসায় ঢুকে মোঃ হাসান (১২) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছে। আহত ওই শিশু শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মোঃ মফিজ গাজী বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে বাইতুন হিকমাহ মডেল মাদ্রাসার হেফ্জ শ্রেণির ছাত্র হাসানের সঙ্গে গতকাল বুধবার সকালে পাশের ছোট ডালিমা গ্রামের সেরাজ বিশ্বাস ও লাইজু বেগম নুরানী ক্যাডেট মাদ্রাসার নুরানী শ্রেণির ছাত্র মোঃ জাকারিয়ার (৭) মধ্যে হাতা-হাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন বিকেল চারটার দিকে সেরাজ বিশ্বাস ও লাইজু বেগম নুরানী ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আলী আকবর (৪০) বাইতুন হিকমাহ মডেল মাদ্রাসায় ঢুকে হাসানকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পর মারে। এতে হাসানের কান দিয়ে রক্ত পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বাইতুন হিকমাহ মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন,‘ঘটনার সময় তিনি শৌচাগারে ছিলেন। ডাক-চিৎকার শুনতে পেয়ে বাইরে এসে দেখতে পান হাসান কাঁদছে, আর আলী আকবর মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছেন।’
আহত শিশু হাসানের বাবা মোঃ মফিজ গাজী বলেন,‘তাঁর ছেলের অপরাধ থাকতে পারে, তাই বলে আরেক মাদ্রাসার শিক্ষক সন্ত্রাসী কায়দায় তাঁর ছেলেকে মেরে রক্ত ঝড়াবে, এটা কেমন বিচার? এ কারণে তিনি থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে আলী আকবরের মোবাইল ফোনে অসংখ্যবার কল করলে তিনি ধরেননি এবং পরে ক্ষুদেবার্তা দিলেও সাঁড়া দেননি।
কহিনুর বেগম
বাউফল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ।।
২২.০৬.২৩