কহিনুর বাউফল(পটুয়াখালী)স্টাফ রিপোর্টার ।।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৪নং কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামে ০৪.০৩.২৩ইং তারিখ রোজ শনিবার ভোর রাতে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় স্বামীকে বেধরক মারধর করেছে পরকীয়া প্রেমিক ও তার বাবা।
জানা গেছে, ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা লালু সরদারের ছেলে হারুন সরদারের (৪৬) সাথে একই ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের সিদ্দিক চৌকিদারের মেয়ে শিল্পী বেগমের (৪২) ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। হারুন সরদার অভিযোগ করেন, গত তিন বছর যাবৎ তার স্ত্রী শিল্পী বেগমের একই বাড়ির তার আপন চাচাতো ভাই শাহিন সরদারের (৪৭) সাথে পরকীয়া প্রেম করে আসছিল। ঘটনার দিন শনিবার (৪ মার্চ) ভোর রাতে তিনি ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যান। নামাজ শেষ করে ঘরে ফিরে দেখেন তিনি স্ত্রী শিল্পী বেগমকে শাহিনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। এ নিয়ে তিনি ডাক চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসেন। শাহিনের সাথে তর্কবির্তকের একপর্যায়ের তার বাবা (শাহিনের) খালেক সরদার এসে তাকে(হারুনকে) কিলঘুষি মারতে থাকেন। এসময় শাহিনও তাকে এলাপাতাড়ি ভাবে মারধর করে এবং এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে হারুন সরদারের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন,‘ তার স্বামী মানষিক বিকারগ্রস্থ লোক। কখন কি বলে নিজেও জানেনা। আমার বিরুদ্ধে তার অভিযোগ সত্য নয়।’
পরকীয়া প্রেমিক শাহিন সরদার বলেন,‘ হারুন সরদার আমার আপন চাচাতো ভাই। আমরা একই বাড়িতে থাকি। আমি বিবাহিত। দুই সন্তানের জনক। তিনি মানষিক রোগী। আমার ভাবমূতর্ী বিনষ্ট করতেই উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন।’
হারুন সরদার বলেন, ‘আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পাঁচ ওয়াক্ত নামজ পড়ি। মিথ্যা কথা বলবোনা। আমার স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে আমি মানষিক যন্ত্রনার মধ্যে আছি। তার মানে আমি পাগল না। একান্ত নিরুপায় হয়ে আমি সাংবাদিকদের ধারোস্ত হয়েছি।’
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন,‘ এ ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কহিনুর বেগম
বাউফল(পটুয়াখালী)স্টাফ রিপোর্টার ।।
০৪.০৩.২৩