বাউফল (পটুয়াখালী)স্টাফ রিপোর্টার।।
পটুয়াখালীর বাউফলে হস্তান্তরের আগেই একটি নবনির্মিত বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্রে ফাটল ধরেছে। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৭২ নং ছোট ডালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ২০২০-২০২১ ইং অর্থবছরে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে একেমা অ্যান্ড জেবি নামের একটি প্রতিষ্ঠান সাড়ে ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করে। এরপর থেকে নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহার ও সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করার অভিযোগ ওঠে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ভবনটির শতভাগ কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে বরাদ্দকৃত সমুদয় বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। যে কোন মুহুর্তে ভবনটি হস্তান্তর করা হবে। রোববার ভবনটি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, নীচ তলার মেঝেতে অসংখ্য ফাটল ধরেছে। পেছনে সিঁড়ির টি বিমে বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় উপরে ওঠার জন্য প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকার মালেক মুন্সিকে গেট খোলার অনুরোধ করলে তিনি চাবি নিয়ে আসার কথা বলে গা ঢাকা দেন। পরে মুঠোফোনে পটুয়াখালী থেকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বাপ্পি বলেন, সঠিক নিয়মে সিডিউল মেনেই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্প তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপসহকারি প্রকৌশলী আলী ইবনে আব্বাস বলেন, কিছু স্থানে হেয়ার ক্রাক হয়েছে। এটা ঠিক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নাজিরপুর ছোট ডালিমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান হোসেন বলেন, প্রকল্প পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক
কহিনুর বেগম
বাউফল (পটুয়াখালী)স্টাফ রিপোর্টার।।
১২/০৩/২৩