সত্যের খোঁজে আমরা
জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম (বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর সকাল অনুমান ০৭ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানাধীন খড়িডাঙ্গা গ্রামের গয়ড়া টু খড়িডাঙ্গা গামী কাঁচা রাস্তার পার্শ্বে তরিকুল ঢালীর ধানী জমি থেকে অনুমান ১৯ বছর বয়সের এক অজ্ঞাত যুবকের মৃতদেহ পেয়ে উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
সংবাদ পেয়ে একই থানার গয়ড়া গ্রামের জনৈক সহিদ গাজী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় তার বড় ছেলে সজীব গাজি (১৯)বলে জানায় এবং বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করলে বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-৩৭ তাং- ১৮/১০/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর ও
লোমহর্ষক হওয়ায় জেলার পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর তদন্তের ভার অর্পণ করলে ডিবি’র এসআই মুরাদ হোসেন মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে তার নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম তদন্তে নেমে ১২ ঘন্টার মধ্যে হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ২ সদস্য ১। শামীম ও ২। রাব্বিকে বেনাপোল বল ফিল্ড এলাকা হতে হত্যাকাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা চাকুসহ হাতে নাতে ধৃত করে তাদের স্বীকারোক্তি
মতে নিহতের নিকট থেকে নেওয়া ইজিবাইক বিক্রয়ের সহযোগীতার সাথে জড়িত আরো ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে শার্শা বাগআচড়া ময়ুরী সিনেমা হলের সামনে থেকে ইজিবাইকটি উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, মাদকদ্রব্য ক্রয়/বিক্রয়ে টাকা পয়সা দেনা-পাওনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইজিবাইক চালক সজিবকে মাদকদ্রব্য গাঁজা সেবনের কথা বলে ঘটনাস্থলে নিয়ে চাকু দিয়ে গলায় পোচ দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে দিয়ে
ঘাতকরা নিহতের ইজিবাইকটি নিয়ে গোপন করার উদ্দেশ্যে তাদের সহযোগীদের নিকট রাখে মর্মে জানা যায়। ধৃত আসামি গয়ড়া বড় আচড়া গ্রামের লিটন মোল্যার ছেলে শামীম হোসেন (২০) ও বড় আঁচড়া মাঠপাড়ার ইসমাইল এরপ পুত্র আজম হোসেন (২০), একই এলাকার