সত্যের খোঁজে আমরা
রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়াকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুকন্দগাঁতী দোকান থেকে বাড়ী ফেরার পথে চন্দনগাঁতী বসুন্ধরায় পৌছিলে ভ্যান থেকে নামিয়ে বাটাম ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে।
আবার ঐদিন ২৬শে অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতেই হামলার শিকার গুরুতর আহত যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেফতার করে বেলকুচি থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত যুবদলনেতা গোলাম কিবরিয়া বেলকুচি উপজেলা ৩ নং ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন চন্দনগাঁতী গ্রামের মো: আসমত আলীর ছেলে।
বিএনপি নেতা কর্মীরা জানান, বিনা কারনে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা আমাদের অন্যায় ভাবে অত্যাচার জুলুম নির্যাতন করে তারাই আবার মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। তাদের মিথ্যা মামলার কারনে আমাদের প্রায়ই থাকতে হয় কোর্ট - আদালতে আর রাতে থাকতে হয় বন জঙ্গলে। আমরা পরিবার ও ছেলে সন্তান নিয়ে বাড়িতে ঘুমাতে পারিনা। বাড়িতে থাকলেই গ্রেফতার হতে হয়। এরই বাস্তব চিত্র বেলকুচি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক গোলাম কিবরিয়া তাদের ধারা হামলার শিকার হওয়ার কারনে হাসপাতালে গিয়ে ভাল ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসাও হতে পারেনি, কারন হামলার সময় তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। আর এজন্যই গ্রামের ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা নেয় গোলাম কিবরিয়া। আর এমতাবস্থায় অসুস্থ জখমকৃত শরীর নিয়ে পালাতে পারেনি কিবরিয়া তাই রাতেই হতে হয় গ্রেফতার।
গোলাম কিবরিয়ার ছোট ভাই কামাল হোসেন জানান, আমার ভাই কিবরিয়া দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কর্মীর ধারা হামলার শিকার হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে গ্রামীণ ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করি। চিকিৎসা দিতেই রাত হয়ে যায়। আলোচনা সাপেক্ষে পরেরদিন থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। কিন্তু আমার অসুস্থ জখমকৃত ভাই কে রাত দুইটার সময় গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
এবিষয়ে বেলকুচি থানা অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, গোলাম কিবরিয়া তদন্ত প্রাপ্ত বিস্ফোরক মামলার আসামি। এই মামলায় তাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে আজ শুক্রবার সকালে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সে হামলার শিকার হয়েছে বা তাকে মারপিট করেছে এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, তবে পরে লোকমুখে জানতে পেরেছি সে হামলার শিকার হয়েছে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।