(মৌলভীবাজার)কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার
ভানুগাছ রেলষ্টেশন মাষ্টার কবির আহমদ ও তার সহকারীর টিকেট কালোবাজারীর কারনে ট্রেনের যাত্রীরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এছাড়া যাত্রীদের পুরনো টিকেট ধরিয়ে প্রতারনা করার ও অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
জানাযায়, সিলেট-আখাউড়া রেলপথ দিয়ে প্রতিদিন ৫টি অন্তঃনগর ট্রেন ,২টি মেইল ট্রেন চলাচল করে। এই সব ট্রেনে ভ্রমণ করে প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট ও চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন ষ্টেশনে যাতায়াত করে থাকেন। এর মধ্যে ভানুগাছ রেল ষ্ট্রেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন শতশত যাত্রী যাতায়াত করেন। ভানুগাছ রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার কবির আহমদ শমসেরনগর ষ্টেশন থেকে বদলী হয়ে ভানুগাছ রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে যোগ দানের পর থেকে এখানে টিকেট কালোবাজারী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টিকেট কালোবাজারী করে থাকেন। এই ষ্টেশনে ট্রেনে যাত্রীরা ট্রেনে যাত্রার ২দিন পূর্বে গেলে ও টিকেট পাওয়া যায়না। তবে অভিযোগ রয়েছে ,কোথায় টিকেট পাওয়া যাবে তাও তিনি দেখিয়ে দেন। ভানুগাছ রেলওয়ে টিকেট কাউন্টারের সামনে ষ্টেশন মাষ্টারের চিহিুত কয়েক জন ব্যক্তিকে দেখিয়ে দেন। তাদের কাছে গেলে ট্রেনের টিকেট পাওয়া যাবে। তবে টিকেট ক্রয় করতে গেলে যাত্রীকে গুনতে হয় টিকেট প্রতি ৫০ থেকে ৭০টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়। এছাড়া কতিপয় যাত্রীকে কাউন্টার থেকে যাত্রার দিনের টিকেটের স্থলে পূর্বে দিনের ট্রেনের অব্যবহৃত টিকেট ধরিয়ে দেয়া হয়। সাধারন যাত্রী ট্রেনে যাত্রা করে পুরনো টিকেট বলে টিটিদের হাতে লাঞ্চিত হওয়া সহ অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এছাড়া যাত্রীরা আরো অভিযোগ করে বলেন, ষ্টেশন মাষ্টার কবির আহমদএর সাথে ট্রেনের এটেনটেন্টসদের সাথে রয়েছে বিশেষ সখ্যতা। সখ্যতার কারনে এটেনন্টেসদের সাথে সরাসরি টাকা বিনিময় করে যাত্রীদের ট্রেনে তোলে দেন এমন ভিডিও প্রতি নিয়ত,স্যোসাল মিডিয়াতে ভাইরাল রয়েছে। ঐ টাকা ষ্টেশন মাষ্টার ও এটেনন্টেস উভয়ে ভাগাভাগি করে নেন। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।