স্টাফ রিপোর্টার ॥
বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ ও পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতাসহ ৭ দফা দাবি পূরণের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) ভোলা জেলা শাখা। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকালে ভোলা জেলা প্রশাসকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভোলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীসহ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) ভোলা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
৭ দফা দাবিগুলো হলো- ১. শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ। ২. পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা মেডিক্যাল ভাতা ও সম্মানজনক বাড়ী ভাড়া ভাতা প্রদান। ৩. বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি মাধ্যমিক প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেলের অনুরূপ বেতন স্কেল নির্ধারণ। ৪. উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষকদের পদন্নোতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা বাতিল করণ। ৫. উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ প্রভাষকদের পদন্নোতির ক্ষেত্রে ‘জেষ্ঠ্য প্রভাষক’ নামকরণের পরিবর্তে পূর্বের ‘সহকারী অধ্যাপক পদ বহাল রাখা। ৬. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে অবসর সুবিধাবোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা প্রদানের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালুকরণ। ৭. সরকার ও শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে প্রভিডেন্ট ফান্ড চালুকরণ।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি শাহনেওয়াজ চন্দন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মীর আমীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আদুর রব প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী এ দেশের সর্ববৃহৎ শিক্ষক সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা ৭ দফা যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি পূরনের আহবান জানাচ্ছি।আমরা আশা করি শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও আর্থিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি পূরণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
এসময় তারা আরও জানান, যদি দাবি মানা না হয় তাহলে পরবর্তীতে আরও বৃহৎ আকারে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।