এম মিলন রানা
চরফ্যাসন প্রতিনিধিঃ
রুটের জাহিদ-৭ লঞ্চের ষ্টাফ কেবিনে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে লঞ্চের লস্কর দুই সন্তানের জনক মফিজ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে দুলারহাট থানা পুলিশ।
বুধবার (৪ জানুয়ারী) সকালে ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানাধীন ঘোষেরহাট লঞ্চ ঘাটে জাহিদ-৭ লঞ্চ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত দুই সন্তানের জনক মফিজ উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে। দুই কিশোরী পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার চর কাজল ইউনিয়নের বাসিন্দা। একজনের বয়স ১৪ বছর অপরজনের বয়স ১৮ বছর।
বুধবার ১৪ বছরের কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে লঞ্চের লস্কর মফিজকে আসামী করে দুলারহাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
দুই কিশোরী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে ঢাকাগামী জাহিদ-৭ লঞ্চে উঠে ডেকে বিছানা করেন দুই কিশোরী। সন্ধ্যার দিকে জাহিদ-৭ লঞ্চের লস্কর মফিজ দুই কিশোরীকে ডেকের ও কেবিনের ভাড়া একই বলে কেবিন ভাড়া নেয়ার প্রস্তাব দেন। লস্কর মফিজের কথায় রাজি হয়ে দুই কিশোরী ইঞ্চিন রুমের পাশে লঞ্চ ষ্টাফদের নিচের একটি কেবিন ভাড়া নেন। রাত ১২টার দিকে লস্কর মফিজ উপরের কেবিনে প্রবেশ করে কাঠের পাটাতন সরিয়ে নিচের কেবিনে ঠুকে ছুরি হাতে নিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ভোরে ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চ পৌছালে দুই কিশোরী লঞ্চ থেকে নেমে ঢাকার নারায়নগঞ্জে একটি মেসে উঠেন। ভয়ে দুই কিশোরী কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানাইনি। ঘটনার দুই মাস পর ১৪ বছরের কিশোরীর প্রেগনেন্সি ধরা পরে। বিষয়টি কিশোরীর বাবাকে জানালে কিশোরীর বাবা ঢাকাতে গিয়ে জাহিদ-৭ লঞ্চে করে আজ বুধবার গ্রামে ফিরেন। ওই লঞ্চে লস্কর মফিজও ছিল। থানায় এসে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত লঞ্চের লস্কর দুই সন্তানের জনক মফিজকে গ্রেফতার করেন।
দুলারহাট থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, এঘটনায় ১৪ বছরের কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত লঞ্চের লস্কর মফিজকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘটনার দুই মাস আগে গত ৩০ অক্টোবর তারা জাহিদ-৭ লঞ্চযোগে ঢাকাতে গার্মেন্টসে চাকরির জন্য রওয়ানা হয়। সামাজিকভাবে জানাজানির ভয়ে দুই নারি কাউকে ঘটনা জানায়নি।