অব্যাহত……….
১। আসামীরা প্রতিদিন কি খাবে এবং কতটুকু পরিমানে তাদেরকে দেয়া হবে। কারাগারের ভিতরে সরকারি একটি চার্ট ঝুলানো থাকলেও কর্তৃপক্ষ এ নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তাদের খেয়াল খুশি মতো নিন্ম মানের খাবার পরিবেশন।
২। অসুস্থ্য আসামীদের সাধারণ আসামীদের সাথে রেখে টাকার বিনিময়ে তারা সুস্থ্য আসামীদের কারা হাসপাতালের সিটে থাকার সুযোগ করে দেয়।
৩। কারাগারের ভিতরে একটা ক্যান্টিন রয়েছে এখানে কারা কর্তৃপক্ষের খেয়াল খুশি মতো ডবল দামে আসামীদের কাছে পণ্য বিক্রি করা হয়। যেমন একটা ছোট শরিসার তেলের বোতল বাইরে ২৫ টাকা হলে তারা নেয় ৪০/৪৫ টাকা।
৪। কারা কর্তৃপক্ষ প্রতি ওয়ার্ডের ম্যাডদের মাধ্যমে সাধারণ ওয়ার্ডের সিট বিক্রি করে। যারা টাকা দিতে পারে তারা ভালো স্থানে ঘুমাতে পারে। আর যারা টাকা দিতে না পারে তারা ঘুমায় ইলিশ ফাইলে। তা ছাড়া কারা কর্তৃপক্ষ মেডদের মাধ্যমে আসামীদের কাছথেকে বিভিন্ন ভাবে ধান্দা করে অর্থ কামায়। এভাবে প্রতি মাসে বিপদগামী অসহায় কারা বন্ধিদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য কারা আইনে জেলখানায় টাকা আদান প্রদান নিষিদ্ধ। কিন্তু এখানে টাকা প্রবেশ করে পিসি, বেশী দামি সিগারেট ও অন্য কৌশলে। তথ্য সূত্রঃ সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পাওয়া, ইলিশার ইব্রাহীম, শিবপুরের রাকিব, আলীনগরের কাশেম, দৌলতখানের আমির ও রাজ্জক, চরফ্যাশনের আকবর সহ ভূক্তভোগী অনেকের বক্তব্য এবং আমি নিজে……