বেপারির আজ ১৭তম মৃত্যুবার্ষিক। ১৮ জুলাই ২০০৫ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আমাদের পরিবারের সকলকে এতিম করে চলে যায় না ফেরার দেশে। নানা একজন দয়ালু ও পরোপকারী এবং ভালো মনের মানুষ ছিলেন কারো বিপদের কথা শুনলে বিপদ গ্রস্তদের পাশে গিয়ে দাড়াতেন এবং নানা একজন ধার্মিক ব্যাক্তি ছিলেন।আমার নানা মরহুম সামছুল হক আমাদের প্রিয় নেতা জনাব তোফায়েল আহমেদ এর বড় ভাই মরহুম আলী আস্রাফ মিয়ার একজন পরম দোস্ত ছিলেন তখনকার আমলে একজন আরেকজনের দোস্ত হওয়াটা খুবই কঠিন ছিল এই দোস্তের বন্ধন ধরে রাখার জন্য নানার দ্বিতীয় সন্তান (কন্যা) আমার মাকে মরহুম আলী আস্রাফ মিয়া এবং প্রিয় নেতা জনাব তোফায়েল আহমেদ এর বড় বোনের ঘরের বড় ভাগিনা আমার বাবা সাহজল হক মিয়ার কাছে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন।যখন আলী আস্রাফ মিয়া মারা যান তারপর থেকে সামছুল হক মিয়া প্রিয় নেতার একজন ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসী মানুষ হিসাবে নেতার অবর্তমানে গার্ডিয়ানের দায়িত্ব পালন করেন নানাকে নেতায় অনেক ভালো বাসতো নানাকে নেতায় সবসময় সম্মান দেখিয়ে কথা বলতো নানা যখন অসুস্থ হয়ে পরে তখন প্রিয় নেতা নানার জন্য পাগল হয়ে যায় নানাকে বাচানোর জন্য পরে নেতা নানাকে দেশ ও দেশের বাহিরে উন্নত চিকিৎসা করিয়েছেন এত চেষ্টার পরেও আমার নানা সামছুল হক বেপারি আল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান না ফেরার দেশে। নানা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসীয় ছিলেন এই ভোলা শহরের স্বাধীনতার আগ থেকে নানা মহাজনপট্টি ব্যবসা করতো নানার চার সন্তান ছিলেন দুই মেয়ে দুই ছেলে ছোট ছেলে আবু ছায়েম ছোট বেলা থেকেই লেখা পড়ার পাশাপাশি বাবার সাথে ব্যাবসা কাজে মনযোগী হয়ে উঠে এবং কম বয়সে আবু ছায়েম সফল ব্যাবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত লাভ করে পরে নানা মারার যাওয়ার পর নানার ব্যাবসার কাজে হাল ধরেন আবু ছায়েম ।মরহুম সামছুল হক বেপারি কত মানুষের কত উপকার করেছে কেউ মনে রাখছে কেউ মনে রাখে নাই। আজ সমাজে অনেকে প্রতিষ্ঠিত এমন সময় গেছে নানা তাদের দুঃসময়ে টাকা পয়সা ও জীবন যৌবন দিয়ে তাদের পাশে ছিল অনেকের পরিবার সংসার নানার টাকায় চলতো নানা মানুষের উপকার করতে পছন্দ করতো কখনো কারো কথায় কষ্ট পেতো না মুখ বুঝে সব কিছু হজম করে মানুষের বিপদে অর্থ সহ নিজেকে বিলিয়ে দিত।আজ হতবা সমাজে অনেকে প্রতিষ্ঠিত তারা এখন ভুলে গেছে সবকিছু বা অনেকে মনে রাখছে এটাই নিয়ম যারা মানুষের উপকারে কথা মনে রাখে তারা মানুষ আর যারা মনে রাখে না তারা অমানুষ আজ হতবা অনেকে লেখা গুলো পরে মনে মনে ভাববেন আজ মৃত্যু বার্ষিকীতে কেন এই লেখা গুলো আসলে অনেক কষ্টের পরে লেখাগুলো লেখলাম কারন ফেসবুকে অনেক সময় অনেক অসভ্যতামী দেখি তাই লেখা গুলো আজ মৃত্যু বার্ষিকীতে লেখলাম যদিও আজ লেখা গুলো প্রকাশ উচিৎ ছিল না তারপরো মনের কষ্টে লেখলাম লেখা গুলো লিখছি ভূল হলে ক্ষমার চোখে দেখে আমার নানার জন্য সকলে দোয়া করবেন আল্লাহ যেন নানাকে জান্নাতবাসী করে আমিন।