অাসামের মতোই বন্যা পরিস্থিতি বাংলাদেশের সিলেট ও জামালপুর এলাকাতেও। এদিকে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে রাজবাড়ী এলাকায় পদ্মা নদীর পানি । সেখানের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার। এর প্রভাব পড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। সেখানের পানিস্তর বৃদ্ধির ফলে তলিয়ে গিয়েছে দৌলতদিয়ার ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পল্টুন। যার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেরিঘাট। সেখানের ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড’-এর গোয়ালন্দ উপজেলার পানি পরিমাপক ইদ্রিস আলী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ৮০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এইভাবে পানিবৃদ্ধি হলে ওই এলাকাতেও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র পদ্মা নদীতেই নয়, পানি বাড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের অন্যান্য নদীতেও।
জামালপুরের ইসলামপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে পানির স্তর বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানের বাহাদুরাবাদ ঘাট-পয়েন্টের পানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ সেন্টিমিটার। শুক্রবার সকালে ওই জেলার ইসলামপুর কুলকান্দি হার্ডপয়েন্টের তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাঁধের ৩০ মিটার অংশে ধস নামে। এতে ভাঙনের মুখে পড়েছে স্কুলসহ নদীর তীরবর্তী এলাকা বলে জানান জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার মোহম্মদ আবু সাঈদ। তিনি বলেন, “অসম ও মেঘালয়ে অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বেড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধে ধস রোধ করতে জিওব্যাগ ড্যাম্পিং করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, সিলেটে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। সেখানের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জের বারোঠাকুরী অমলশীদ এলাকায় বরাক মোহনায় সুরমা-কুশিয়ারা উৎসস্থলে ত্রিগাঙের ‘ডাইক’ ভেঙে পানি ঢুকে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হয়। বারোঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসীন মর্তুজ জানান,বারোঠাকুরী, খাসিরচক, খাইরচক, বারোঘাট্টা, সোনাসার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর আশেপাশের এলাকায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পাবে। সিলেটের প্রধান নদনদীগুলির পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর জেরে পানিবন্দি সিলেটের কয়েক হাজার মানুষ।।