ময়মনসিংহে শিশুদের সুত্রে ধরা পড়লো ঝাল টাকার কারখানা। শিশুরা এক বান্ডিল টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেশ

ময়মনসিংহে শিশুদের সুত্রে ধরা পড়লো ঝাল টাকার কারখানা। শিশুরা এক বান্ডিল টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেশ

দূরের বাজারে গিয়েছিল কেনাকাটা করতে। সেখানে গিয়ে কিছু পণ্য কিনে ১ হাজার টাকার নোট দিলে ব্যবসায়ীরা দেখতে পান তা জাল। এ সময় শিশুদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৯০

হাজার টাকার জাল নোট। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিশুদের পুলিশের হাতে দেওয়ার পর তাদের সূত্র ধরে সন্ধান পাওয়া যায় জাল নোট তৈরির কারখানা। মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় আরও ২৪ লাখ

টাকার নোট ও জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম। এ ঘটনা ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের।

পুলিশ জানায়, উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের বৃণ্ডদেবস্থান গ্রামের বৃদ্ধ কাশেম মিয়ার ৯ ও ১১ বছর বয়সী দুই নাতি শনিবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে জাল

নোটের বিষয়টি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে এসে শিশু দুটিকে নিয়ে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়। তারা কাশেমের বাড়িতে গেলে লোকজন জাল টাকার ঘটনা শুনে আকাশ থেকে পড়ার ভান করেন।

তবে পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে একটি বড় ট্রাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ কাগজ উদ্ধার করে। ওই কাগজগুলোয় টাকার নোটের নিরাপত্তা সুতার মতো দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। এক

পর্যায়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই মো. আশরাফুল একটি চালাঘরে ঢুকে বালু খুঁড়ে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে এর ভেতরে ১ হাজার টাকার নোটের ২৪টি বান্ডিল পান। প্রতিটি বান্ডিলে ১০০ নোট

ছিল। পুলিশ আরেকটি ঘরের সিলিং তল্লাশি করে নিরাপত্তা সুতার মতো দেখতে পেয়ে দুই বান্ডিল কাগজ উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে কাশেম মিয়া কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তবে স্থানীয়রা জানান, তাঁর তিন ছেলে ও ছয় মেয়ে। বড় ছেলে ডালিম মিয়া বেকার। তিনি বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। পুলিশ তাঁর

খোঁজে কয়েক দিন পর পর বাড়িতে আসে। এ কারণে তিনি পলাতক থাকেন। অন্যদিকে, এক মেয়ের জামাই সেলিম মিয়া কয়েক মাস আগে ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ র‌্যাবের

হাতে ধরা পড়েন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। স্থানীয়রা আরও জানান, দু’দিন আগে সেলিম শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি বস্তা নিয়ে গেছেন। তাতে জাল টাকা ছিল বলে গ্রামবাসীর ধারণা।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, দুই শিশু ও তাদের নানাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *