🌺
সরাসরি সৌদি আরব থেকে আনা
মরিয়ম ফুলের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর ব্যবহার হয়ে আসছে বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের প্রসবকালীন সময়ে এই ফুলের ব্যবহার আবশ্যক। ঐতিহ্যবাহী ধাত্রীরা শত শত বছর ধরে প্রসবকালীন সময়ে মায়ের ব্যথা লাঘব করার জন্য এই ফুলের ব্যবহার করছেন।
এই ফুলকে হযরত ঈসা আঃ এর মায়ের নাম নামানুসারে ‘মরিয়ম ফুল বা মরিয়ম বুটি’, নবী সাঃ এর কন্যা ফাতিমার নামানুসারে “ফাতিমার হাত বা হ্যান্ড অব ফাতিমা” এবং এর বৈশিষ্ট্য অনুসারে ‘পুনরুত্থান উদ্ভিদ’ বলা হয়।
কারণ এই ফুল দেখতে খটখটে শুকনো ও মরা মনে হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলেই তরতর করে পাপড়ি মেলতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই ফুটন্ত ফুলের মতো তাজা আর পরিপূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়ে যায়। এ এক আশ্চর্য ফুল। অনেকেই হজ্বে গিয়ে এই মরিয়ম ফুল নিয়ে আসেন অথবা অন্যকে দিয়ে আনান।
মহানবীর যুগে প্রচলিত বিবি মরিয়মের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে এই কুদরতি ফুলটি আল্লাহর রহমতে গর্ভবতী হতেও সহায়তা করে এবং লেবার পেইন কমিয়ে দ্রুত ও সহজে ডেলিভারী সম্পন্ন হয়ে যায়।
♦♦ ব্যবহারের নিয়মঃ
💥 প্রসবকালীন সময়ঃ কোন বাচ্চা জন্মের সময় যখন ডেলিভারি ব্যথা উঠে তখন ফুলটিকে ডেলিভারি রুমে কোন খোলা বাসনে কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ভিজালে ফুলটি আস্তে আস্তে ফুটতে থাকবে এবং যার ডেলিভারি হবে তার জড়ায়ুর মুখ খুলতে থাকবে। যতই ভিজতে থাকবে ও প্রষ্ফুটিত হতে থাকবে আল্লাহ্ তাআলার দয়ায় মরিয়ম বিবির ফুলের বরকতে বাচ্চার জন্ম খুব সহজ ভাবেই হবে। বেবী হয়ে গেলে পানি থেকে ফুলটি উঠিয়ে ফেলতে হয় এবং এই ফুলের কাজ শেষে পানি থেকে উঠিয়ে রাখলে আবার আগের মত ছোট হয় কারন এটি একাধিক বার ব্যবহারযোগ্য।
💥 গর্ভবতী হওয়ার জন্যঃ আর যারা বাচ্চা কন্সিভ করতে চান তারা শেকড় ভিজিয়ে রেখে তার পানিটা তাহাজ্জুদ
নামাজের আগে এবং পরে নিয়ত করে খাবেন এবং এটি অবশ্যই ফযরের নামাজ পড়ার আগেই খেয়ে নিতে হবে।