মানসিকভাবে পীড়িত রিয়াজকে হোন্ডা ধরার অজুহাতে বোরহানউদ্দিন পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ডের শোভন ভুইয়া কর্তৃক অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিচার দাবী করেছেন তার পরিবারসহ সচেতন মহল।
রিয়াজের বাবার বাড়ি একসময় বোরহানউদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুরে ছিল। তেতুলিয়া নদীর কবলে ভিটা মাটি হারায় তার বাবা। পরে গঙ্গাপুরের উত্তর পাশে দৌলতখানের দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নগর ওয়ার্ডে ওর বাবা বাড়ি করে। সঙ্গত কারনেই বাড়ির পাশে খায়ের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে এবং ২০১৩ সালে এস এস সি পাশ করে। আবার কলেজেও পড়েছে।
ও ডিগ্রী পাশ করা একটা ছেলে। বেকার থাকার কারনে কর্মসংস্থান যোগাড় করতে না পারায় মানসিক টেনসনে পরিবার, বাচ্চা, বউ নিয়ে ভাবতে ভাবতে আজ এমন অবস্থা হয়েছে বলে অনেকের ধারনা।
এই রিয়াজ একসময় Mentally Striken হয়ে পরে এবং জীবনে স্বাভাবিকতা হারায়।
আরম্ভ হয় অন্য এক জীবন। মাথায় জালি টুপি, গায়ে হাতাকাটা প্লাস্টিকের গেন্জি, একটা অন্যরকম লুঙ্গি এবং হাতে NID কার্ড ও সার্টিফিকেটের ফটো কপি নিয়ে রোজ করে বের হয় বাড়ি থেকে। এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যানকে সে ছাড় দেয়না। দেখলেই একটি চাকুরী খুঁজে। মাঝেমধ্যে হোন্ডা গাড়ী দেখলে বলে “এটা আমার গাড়ী”। এটাই একদিন কাল হয়ে দাঁড়ায়।
রবিবার (১৬ এপ্রিল) আগের মতই বাড়ী থেকে বোরহানউদ্দিন বাজারে যায়। এটা হয়তো ওর কপালে লিখা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় সেদিন বোরহানউদ্দিন বাজারে শোভন ভূইয়ার হোন্ডা টানা হেচরা করলে সাথে সাথেই রিয়াজকে বট দিয়ে পিলারে বাঁধা হয়। আর আরম্ভ হয় মধ্যযুগীয় নির্যাতন আর বর্বরতা।
ছবি কথা বলে। পাগলেরও একটা সম্মান আছে।
(আবাছা ওতায়াল্লা, আন যায়াহুমুল আ’মা)
আইনে বাবা ছেলেকে মারতে পারেনা, স্বামী স্ত্রীকে মারতে পারেনা।
১/ থানার মতামত থাকবে।
২/ ওর স্ত্রীর/ বাবার মতামত নিবো
৩/ ওর সহপাঠীদের মতামত নিবো।
৪/ পত্রিকায় নিউজ আসবে।
৫/ সহপাঠীরা মানববন্ধন দাবী করেছে। দেখা যাক।
বাড়িঃ গঙ্গাপুর, হাজি বাড়ি।
ওর স্ত্রী আছে, ছোট ২টা বাচ্চা আছে।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,, মানবতার পাশে থাকুন, আমাদের সাথে থাকুন।