জাতীয় দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরে ইস্টার্ণ ব্যাংক কতৃক দায়েরকৃত মিথ্যা ঋণ খেলাপির মামলা হতে অব্যাহতি, ক্ষতিপূরণ, মানি লন্ডারিং অপরাধের সাথে জড়িত দুর্নীতিবাজ ইস্টার্ণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তা রাজিবুল,রায়হান মাদক সম্রাট হিজরা মিলন, জিহাদ ও শিল্পীকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ এর আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে- সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
আজ রবিবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব রংপুর জেলা শাখার মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পড়েন ভুক্তভোগী মহাসিনার স্বামী মো: নুরুজ্জামান জোয়ান পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, বাড়ী নং-৯০, রোড নং-০১, নুরপুর আলম নগর, তাজহাট, রংপুর।
এ সময় সাংবাদিকদের আপনাদের লেখনীর মাঝে উঠে আসে দেশের সকল প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি, অন্যায় জুলুম ও নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের সচিত্র প্রতিবেদন। আর এই জন্যই আপনাদেরকে বলা হয় জাতির বিবেক। আমি একজন ভূমিহীন অসহায় দিনমজুর দুসন্তানের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালাতেই হিমশিম খেতে হয় প্রতিনিয়ত। বেঁচে থাকার তাগিদে খুব কষ্টে জীবন যাপন করে আসছি।
আজ ২১ আগষ্ট ২০২২ ইং রবিবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পড়ে জানাচ্ছি যে, আমার ছোট নুরুল হক মিলন (হিজরা মিলন), পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, নুরপুর আলম নগর, থানা-কোতয়ালী, জেলা রংপুরের সাফল্য মহিলা কল্যাণ সমিতি নামের প্রতিষ্ঠানে আমার স্ত্রী মোছা: মহাসিনা আয়া পদে চাকুরী করা কালীন সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয়পত্র সহ অন্যান্য কাগজপত্রের ফটোকপি অফিসে সংরক্ষণ ছিল। মাদক সম্্রাট প্রতারক নুরুল হক মিলন (হিজরা মিলন) এর সাফল্য মহিলা কল্যাণ সমিতি নামের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থাকার সুবাদে ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড, ধাপ শাখা, রংপুরের রিলেশনশিপ অফিসার (এসএমই) রাজিবুল হক রাজিব ও অডিট অফিসার রায়হান তারা নিজেরাও মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদক সম্্রাট হিজরা মিলনের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুর্নীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিবুল, রায়হান, হিজরা মিলনের ম্যানেজার অন্তর, মিলনের সহযোগি জিহাদ, মিলনের স্ত্রী শিল্পীসহ প্রতিদিন রাতে মাদকের মহাৎসবে মেতে উঠতো মাদক সম্্রাট নুরুল হক মিলন (হিজরা মিলনের বাড়ী)।
আমার স্ত্রী মহাসিনা হিজরা মিলনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাফল্যতে চাকুরী করা কালীন সময় হিজরা মিলন বলেন, সবার বেতন এখন থেকে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হবে তার জন্য ব্যাংকে একটি সেভিং একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার কথা বলে মহাসিনার কাছ থেকে ইস্টার্ণ ব্যাংকের একটি কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় হিজরা মিলন।
প্রায় বছর চারেক পর হঠাৎ গত ১৬-০৩-২২ ইং তারিখ রাত্রি ১২টার দিকে আমার স্ত্রী মহাসিনাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বাড়ীতে এলে গ্রেফতার বিষয়টি এক প্রকার পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে বাড়ীর লোকজন। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মহাসিনা গ্রেফতারে আতঙ্কে মাথা চক্কর দিয়ে মিলনের বাড়ীর দোতলার বেলকুনি হতে নীচে পড়ে যায়। নীচে পড়ে গিয়ে মহাসিনা প্রাণে বেচে গেলেও দুই পায়ের এঙ্গলেট জয়েন্ট ও মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যায়। তার এ দুর্ঘটনা দেখে উপস্থিত লোকজনসহ পুলিশও হতভম্ব হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে চলে যায় এবং আহত মহাসিনাকে দ্রুত অটোরিক্সা যোগে নিয়ে যাওয়া হয় রংপুর মেডিকেলের জরুরী বিভাগে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করে নেন। মহাসিনার চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি পুলিশের কাছে জানতে চাইলে পুলিশ জানায় আমার স্ত্রী মহাসিনার নামে ঢাকায় অর্থঋণ আদালতে ঋণ খেলাপির দায়ে মামলায় হয়েছে। এবং আদালত কর্তৃক তার বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারী পরোয়ানা জারি হয়েছে।
আশ্চর্যের বিষয় যে, আমার ছোট ভাই হিজরা মিলন আমার স্ত্রী মহসিনার কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট খোলার নামে ব্যাংকের কাগজে স্বাক্ষর নিলেও সে অদ্যাবতী পর্যন্ত জানেই না তার নামে ব্যাংকে একাউন্ট খোলা হয়েছে। কারণ এখন পর্যন্ত ইস্টার্ণ ব্যাংকের এই একাউন্টে সঞ্চয় তো দূরের কথা এক টাকাও লেনদেন করে নাই
এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর কত চেক বই দেখতে কেমন সেটিও জানা নেই তার। অথচ এই একাউন্টে লেনদেন দেখিয়ে মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র ব্যাংকে দাখিল করে এবং মরগেজ হিসেবে আমার নামে সৃষ্টি করা হেবা জাল দলিল ব্যাংকে জমা দিয়ে আমার স্ত্রী মহাসিনার নামে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে সেটি সুদে আসলে দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আপনাদের মাধ্যমে আমার জিজ্ঞাসা, মা এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠানটি কোথায়, মা এন্টারপ্রাইজের ট্রেড লাইসেন্স কার নামে, আয়কর টিন নম্বর কার নামে, ব্যাংকে লেনদেনকারি কে, কার মাধ্যমে এসব কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে, ঋণকৃত ২৫ লক্ষ টাকা কে উত্তোলন করেছে। মর্গেজ হিসেবে ব্যাংকে দাখিলকৃত হেবা দলিলটির আইনগত বৈধতা কতটুকু?
ইস্টার্ণ ব্যাংক ধাপ, রংপুর শাখার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখলেই বেড়িয়ে আসবে এ সব অবৈধ ঋণের সাথে কারা জড়িত। এ দিকে টাকা না নিয়েও এই ঋণের বিষয়ে আমার স্ত্রী মহাসিনা বা আমি কিছুই জানি না। তারপর ও মিথ্যা মামলা বোঝা মাথায় নিয়ে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার দারে ধারে। এ ঘটনাটি ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন সমাজকে
প্রতারক নুরুল হক মিলন, তার ম্যানেজার অন্তর, শ্যালক জিহাদ ও মিলনের স্ত্রী শিল্পী বেগম, ইস্টার্ণ ব্যাংকের ঋণ কর্মকর্তা রাজিবুল,রায়হান ইস্টার্ণ ব্যাংক ধাপ শাখা ম্যানেজারের সহযোগিতায় ৫ শতক জমির রেজিষ্টি বিহীন ভুয়া জাল দলিল ট্রেড লাইসেন্স ও কাগজপত্র ব্যাংকে জমা দিয়ে পচিশ লক্ষ টাকা আত্মসা করেছে এই চক্রটি। আর মামলা হল মহসিনার উপর।
এই প্রতারক মানি লন্ডারিং চক্রটি ভুক্তভোগী মহাসিনা ছাড়াও নাসিমা বেগম, রাশেদা বেগম লাইলী বেগম ও জামাল মিয়াসহ প্রায় ১০/১৫ জনের নামে ভুয়া জাল দলিল, ট্রেড লাইসেন্স, ও অন্যান্য কাগজপত্র ব্যাংকে দাখিল করে ব্যাংক কর্তৃক পক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
যাহা ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর সংশোধনী ২০২১ এর ধারা ৫ এর দফা (ন) এর মানিকন্ডারিং আইন ২০১২ এর (ফ) ও (প) সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর ৭ এর ১ বিধান অনুযায়ী সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন করার অপরাধ।
ভুক্তভোগী আরো বলেন,ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ছাড়া এই ঋণ অনুমোদন হওয়ার সুযোগ নাই। ব্যাংক কোম্পানি, আইন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন অনুযায়ী ঋণ কার্যক্রমটি এই আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মহসিনা ও তার পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবং ইস্টার্ণ ব্যাংক কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি পেতে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক, বেসরকারি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংক, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার পুলিশ কমিশনারসহ ও সকল গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সঠিক তদন্তপূর্বক অবৈধ ঋণ কার্যক্রমের সাথে জড়িত দুর্নীতিবাজ ইস্টার্ণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তা রাজিবুল,রায়হান মাদক সম্রাট হিজরা মিলন, জিহাদ ও শিল্পীকে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯ এর আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মহসিন ও তার পরিবারবর্গ।