জাতীয় দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা
মাটি মামুনঃ
রংপুরে অর্থলোভী মিতু’র ঠাই হলো কারাগারে, রুপের গৌরবে যার টার্গেট ছিলো পয়সাওয়ালা পুরুষ।
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজলার ১৫ নং কাবিলপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন মিতু মামলার জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট-২২) জেলহাজতে পাঠানার আদেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরনে যানা গেছ, রংপুর কোতোয়ালী মেট্রো দেওডাবা বানিয়া পাড়ার মজিবুল হকের ছেলে আকরাম হোসেন মাইনুল মিতুর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রক্ষিতে গত ২২ শে জুন সাবিনা ইয়াসমিন মিতুকে জামালপুর নিজ বাসা থেকে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়, কয়েক দিন জেল হাজতে থাকার পর আদালতে জামিনের জন্য প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে গত ৩০ শে জুন ২২ইং কিছু শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন ।
উক্ত মামলা নং সি.আর ৫৭৮/২২ ধারা ৪২০, ৪০৬, ১০৯ মামলায় জামিন পেয়ে বাদী রংপুরের ঔষধ ব্যবসায়ী (আকরাম হাসান মাইনুল) কে জানে মেরে ফেলার হুমকী ও তার এলাকার লোকজন দিয়ে ভয়ভীতি দেখান সাবিনা ইয়াসমিন মিতু। মিতুর হাত থেকে জানে বাঁচার আকুতি জানিয়ে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মাইনুল একটি জিডি করেন, জিডি নং ৯৩, এবং গত ১০ আগস্ট রংপুর সংবাদ সম্মলন করে প্রশাসন সহ রংপুরের সকল সাংবাদিকের মাধ্যমে বাঁচার আকুতি জানান মাইনুল।
এলাকাবাসীর সূত্রে যানা যায়, যে সাবিনা ইয়াসমিন মিতু এলাকার বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত থাকত। যখন দেখলো- তার রুপে পাগল হয়ে শত শত তরুণ যূবক তার পিছু নিয়েছে, তখন থেকেই সে রুপ ও সৌদর্য্যকে পুঁজি হিসেব নিয়ে বাবা-মায়ের যোগ-সাজশে রংপুরের কোতোয়ালী মেট্রো দেওডোবা বানিয়াপাড়া গ্রামের মজিবুল হকের পুত্র আকরাম হোসেন ওরফে মাইনুলকে মোবাইলের মাধ্যম প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার গ্রামের বাড়ী জামালপুরে ২১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আলিশান বাড়ী তৈরী করে নেয় মিতু। বিয়ের নামে প্রতারণার ব্যবসা শুরু করে মিতু।
পূর্বের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী মিথুন মিয়ার বিরুদ্ধে রংপুরের বিজ্ঞ পারিবারিক আদালত (পারি ১২/১৯ নম্বর) মামলা দায়ের করে। অপর তালাকপ্রাপ্ত স্বামী সারোয়ার হাসানের নিকট হতে নগদ দেনমোহরানা গ্রহণ করে ওই স্বামীকেও তালাক দেন সাবিনা ইয়াসমিন মিতু, সে বিভিন্ন ছেলের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িত থাকায় সর্বশেষ রংপুরের ব্যবসায়ী স্বামী আকরাম হাসন মাইনুল গত ০২ আগস্ট ২০১১ইং তারিখ তালাক দেন। পরবর্তীতে পুনরায় মিতুর পরিবারর লোকজন অনুরোধ করলে ১১ আগষ্ট’২০২১ইং তারিখ রেজিস্টারি কাবিননামা মুলে বিবাহ হয়। এরপর ২০ মার্চ’২০২২ইং এফিডভিট সম্পন পূর্বক আবারও তাকে তালাক প্রদান করেন। সাবিনার শেষ স্বামী ছিল একেবারে সহজ সরল প্রকৃতির লোক । তার সব পরকিয়া,অর্থলোভী এবং দুশ্চরিত্রা কথা জানতে পেরে আকরাম হোসেন মাইনুল রংপুর জজ কোর্টে মিতুর বিরুদ্ধ মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং- সিআর-৫৭৮/২২, ধারা- ৪২০,৪০৬, ১০৯।
গত ২৫ আগস্ট সাবিনা ইয়াসমিন মিতু উক্ত মামলায় রংপুর জজ কোটে হাজিরা দিতে আসলে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেল-হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।