রক্ষীদের একজন। পাশেই আছেন ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ।
২১ আগস্ট,কি যেন এক কারনে নেত্রী মাহবুব সাহেবের প্রতি ভীষন মনঃক্ষুন্ন ছিলেন।বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের সমাবেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নেত্রী যখন সুধাসদনের দোতলার সিঁড়ি থেকে নিচে নামছেন,ঠিক তখনি সামনে উপস্থিত হলেন মাহবুব ভাই। নেত্রী সিঁড়ি ভেঙ্গে নিচে নামছেন আর রাগতস্বরে মাহবুব ভাইকে বলছেন--"তুমি আজকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যাবে না।আমি যেন তোমাকে সেখানে না দেখি।" শুনে মাহবুব ভাই মাথা নিচু করে শাসন মেনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নেত্রীর গাড়ি রওনা দেওয়ার সাথে সাথেই দ্রুতবেগে মাহবুব ভাইও বেরিয়ে গেলেন।চুপিসারে নেত্রীর দৃষ্টির আড়ালে তিনিও পৌছালেন সমাবেশ মঞ্চের নিকটে।
গ্রেনেড হামলা শুরুর সাথে সাথে জানবাজি রাখা নেতৃবৃন্দের সাথে মানবদেয়াল তৈরী করে নেত্রীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে গাড়িতে তুলে দেবার প্রাক্কালে নেত্রীকে টার্গেট করে ছোঁড়া ঘাতকদের গুলি এসে লাগে মাহবুব ভাইয়ের গায়ে। নেত্রী বেঁচে গেলেন,প্রান দিলেন মাহবুব ভাই।
সুধাসদনে ফিরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে নেত্রী বললেন,
"যে মাহবুবকে আমি যাওয়ার আগে রাগারাগি করলাম,প্রোগ্রামে যেতে নিষেধ করলাম,সেই মাহবুবই আজ আমাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রান দিলো।"
মাহবুব ভাইয়ের পরিবারের সকল দায়দায়িত্ব কৃতজ্ঞচিত্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহন করছেন।