দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
রমজান মাসে দিনাজপুরের হিলিতে আখের গুড় বিক্রি বেড়েছে। আগে শীত মৌসুমে পিঠা তৈরির সময় ছাড়া তেমন একটা আখের গুড় বিক্রি হতো না। কিন্তু রোজার মাসে ইফতারিতে শরবত তৈরির জন্য আখের গুড় বেশি কিনছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারিতে শরবত বেশিরভাগ রোজাদারই পান করেন। তাই পরিবারের জন্য আখের গুড় কিনছেন তারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছর রমজান মাসে যেমন আখের গুড় বিক্রি হয়, এবারও তাই হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিকেল (৫)হিলি বাজারে আখের গুড় কিনতে এসেছেন উপজেলা সদরের মাঠপাড়া এলাকার মো. মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে এসেছি আখের গুড় কিনতে। ইফতারিতে গুড়ের তৈরি শরবতে তৃপ্তি পাওয়া যায়। যদিও কেউ কেউ চিনির শরবত, স্যালাইনসহ অনেক কিছু ইফতারিতে ব্যবহার করেন। তবে আমার পরিবারে আমি আগে থেকেই গুড়ের তৈরি শরবত ব্যবহার করি। তাই আখের গুড় কিনতে এসেছি।’
আরেক ক্রেতা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘গুড়ের দাম বাড়েনি। আগেও ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। এখনো ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে। ইফতারিতে
চিনির তৈরি শরবতের চেয়ে গুড়ের তৈরি শরবত ভালো লাগে। তাই বাজারে আখের গুড় কিনতে এসেছি।’
হিলি বাজারের গুড় বিক্রেতা মো, ইয়াছিন আলী বলেন, ‘আমি পারিবারিকভাবেই গুড় ব্যবসায়ী। আমার বাবাও আখের গুড়, খেজুরের গুড় বিক্রি করতেন। আমি বিক্রি করি। আসলে গুড়ের ব্যবসা কিছুটা মৌসুমি ব্যবসায়ের মতোই। শীতের সময় খেজুরের গুড় আর গরমের সময় আখের গুড়ের চাহিদা বাড়ে। বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে।’
ইয়াছিন আলী আরও বলেন, ‘আমরা আগে নাটোর থেকে আখের গুড় আনতাম। এখন আমাদের পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ থেকে আখের গুড় এনে বিক্রি করি। আমাদের এলাকায় আফতাবগঞ্জ আখের গুড়ের বড় মোকাম। মোকামে ১০০ কেজি দরে কিনে ভ্যান যোগে হিলিতে নিয়ে আসি। গুড় মাটির তৈরি পাত্রে করে আনতে হয়। ভ্যান খুব সাবধানে চালাতে হয়। ধীরে ধীরে। তাই ভ্যান ভাড়াও বেশি পড়ে। হিলিতে আনতে ১১০ টাকা কেজি পড়ে। আর বিক্রি করছি ১২০ টাকা কেজি দরে।’