বিশেষ প্রতিনিধি,
চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়ার পালোয়ান পাড়া গ্রামে পানি নিষ্কাশনের পথ ভরাট ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নোয়াপাড়ার ৫নং রোডস্থ পলোয়ান পাড়ার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র জসিম উদ্দিন মানিক ও তার ভাই মো: এনামের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় পালোয়ান পাড়া এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার মেয়ে ভুক্তভোগী রুজি আকতার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন। (ফৌজদারী মিছ মামলা নং ৮৩৩/২২)।
আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই জমিতে ১৪৫ ধারা জারি করেন। এবং বিরোধীয় ভুমি তদন্ত পূর্বক দখল, মালিকানার নির্ধারিত ছক মোতাবেক স্কেচ ম্যাপসহ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য রাউজান সহকারী ভুমি কমিশনার ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাউজান থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শোনানির দিন ধার্য্য করেন।
কিন্তু আদালতের ১৪৫ ধারা জারি থাকলেও জসিম উদ্দিন মানিক ও মো: এনাম আদালতের আদেশ অমান্য করে বর্তমানে ভবন নির্মানকাজ অব্যাহত রাখেন।
মামলার এজাহারে রুজি আকতার বলেন, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া মৌজার বিএস ১১৩৪ খতিয়ানের বিএস ১৬৮৪৬ ও ১৬৮৪৭ দাগের ৩ শতক জমির মালিক বাদশা মিয়া তথা রুজি আকতারের পৈত্রিক বসত ভিটা। এবং তাদের বসতভিটার সীমানা দেওয়ালের লাগোয়া তফসিলোক্ত ৫ ফুটের একটি পানি নিষ্কাশনের পথ (নালা) উন্মুক্ত রেখেছিল। যা দিয়ে গ্রামবাসীর (২৫ টি পরিবারের) পানি চলাচল করতো।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে ওই পানি নিষ্কাশনের পথ জবর-দখলে নিয়ে ভরাট করে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন মানিক ও মো: এনাম। ফলে পানি বন্দী হয়ে পড়ে ২৫ পরিবার। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়ায় কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিতে উঠোন ভর্তি পানিতে টইটম্বুর হয়ে পড়ে। ফলে গত আট দিন ধরে পানি বন্দি হয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন রুজির পরিবার। প্রতিবেদক সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে ঘটনার সত্যতা দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মো: এনাম বলেন, আমাদের পৈত্রিক জমি ভরাট করে আমরা বাড়ি নির্মাণ করেছি। কোন পানি চলাচলের পথ বন্ধ করিনি। বরং আমার বাড়ির পাশ দিয়ে একটি ৬ ইঞ্চির পিভিসি পাইপ দিয়ে
পানি চলাচলের জন্য পথ তৈরি করে দিয়েছি। সেখান দিয়ে পানি চলাচল করছে।
‘এই জায়গার ওপর আদালতের ন