সত্যের খোঁজে আমরা
দাবি করেছেন উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
গত রবিবার লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যিনি সিল মেরেছেন, তার নাম আজাদ হোসেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোট কক্ষে বসে আজাদ হোসেন ব্যালট পেপারে অনবরত নৌকা প্রতীকে সিল মারছেন। তার গলায় নৌকা প্রতীকের কার্ড ঝুলছে। এ সময় ৪৩টি ব্যালটে নৌকা প্রতীকে তাকে সিল মারতে দেখা যায়। তাকে নৌকায় সিল মারতে সহযোগিতা করছেন কক্ষে থাকা অন্য এক ব্যক্তি।
আজাদের বিষয়ে পিংকু বলেন, ‘আজাদ ছাত্রলীগের কেউ নয়, সে শিবিরের লোক। এর আগে বিতর্কিত কাজ করায় তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা। শিবির করার অভিযোগেই তাকে বহিষ্কার করা হয়। আমাদের বিতর্কিত করার জন্য আজাদ টাকার বিনিময়ে এসব কাজ করেছেন। জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এসব কাজ করা হয়েছে।’
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এই নির্দেশনা দেয় ইসি।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বেসরকারিভাবে পিংকুকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
উৎসঃ আমাদের সময়
প্রতি মুহুর্তের খবর পে