লালমনিরহাটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক্যর অভিযোগ করেছে এক নারী।

লালমনিরহাটে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক্যর অভিযোগ করেছে এক নারী।

মাটি মামুনঃ

লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রমোদ কুমার মহন্ত (৩৭)র বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন শারীরিক সম্পর্ক্য গড়ার অভিযোগ করেছে এক নারী।

ভুক্ত ভুগী নারীর নাম শিখা রানী (২৭),সে কালিগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের ধনঞ্জয় রায়ের কন্যা। মঙ্গলবার (২৫অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জেলা শহড়ের ষ্টেডিয়াম পাড়ায় শিখা রানী তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক প্রমোদ কুমার মহন্তকে ডেকে আনে।শিখা রানী তাকে আজকের মধ্যে বিয়ে করতে বলে,প্রমোদ কুমার বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়,এনিয়ে বাকবিতান্ডা হলে প্রমোদ কুমার অসুস্থ হয়ে পড়েন,তাকে তাৎক্ষনিক ভাবে ম্যাটিন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হলে সে সুস্থ বোধ করেন।

শিখা রানী উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন,লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রমোদ কুমার মহোন্তের সাথে দুই বছর আগে পরিচয় হয় শিখা রানীর।পরিচয়ের সুত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক্য গড়ে উঠে,শিখা রানী কে বিবাহ করিবে বলে তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক্য গড়ে তোলে,এতে শিখা রানী গর্ভবতী হলে প্রমোদ কুমার ঢাকায় নিয়ে গিয়ে জোর করে গর্ভপাত ঘটান।এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিখা রানী কে মন্দিরে নিয়ে মালাবদল করে শাখা সিঁদুর পুড়িয়ে দেন প্রমোদ কুমার মোহন্ত।

এরপর থেকে শহড়ের সাপটানা রোডে ভাড়া বাসা নিয়ে শিখা রানী ও প্রমোদ কুমার মোহন্ত সংসার করতে থাকেন।এর মধ্যে শিখা রানী জানতে পারেন শিক্ষক প্রমোদের পূর্বের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে, এটা শুনে গত ২৪আগষ্ট শিখা রানী সুইসাইড করতে কীটনাশক পান করেন,প্রমোদ কুমার অবস্থা বেগতিক দেখে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজীবের সহযোগীতায় শিখারানী কে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন।এরপর থেকে প্রমোদ কুমার শিখা রানীর সাথে দুরত্ব বজায় রেখে চলেন,উপায়ন্ত না পেয়ে প্রমোদ কুমার কে আজকে ষ্টেডিয়াম পাড়ায় শিখা রানী ডেকে আসেন।

ম্যাটিন ক্লিনিকে প্রমোদ কুমার মহন্তোর মুখোমুখি হলে সে এই প্রতিবেদকের কাছে সম্পর্ক্যের কথা স্বীকার করে বলেন,আমার স্ত্রী সন্তান রয়েছে তাই শিখা রানীকে বিয়ে করা সম্ভব নয়।আমি তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার বিয়ের ব্যাবস্থা করতে বলি,এবং শিখার বিয়ের সকল খরচ আমি দিতে প্রস্তুত রয়েছি,শিখা রানী তার এই প্রস্তাবে সম্মত নন,তিনি দাবী করেন তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়া না হলে তার জীবন দেওয়া ছাড়া তার উপায় নেই। শিক্ষক প্রমোদ কুমার মহন্ত ও শিখা রানী যার যার অবস্থানে অনড় থাকায়,উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীগন সদর থানা পুলিশ কে খবর দিয়ে ছেলে মেয়েকে সোপর্দ করে।বর্তমানে তারা থানা হেফাজতে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *