দিনাজপুর হিলি প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
পৌষের কনকনে শীতে জুবুথুবু উত্তরের জেলা দিনাজপুর। হিমালয় পর্বতের কাছাকাছি হওয়ায় এই জেলায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি। তাই পৌষ মাসের শুরু থেকে এই জেলায় কনকনে শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। এতে বেশি কাবু হয়েছে শিশু ও বয়স্করা। তীব্র এই শীতকে উপেক্ষা করে জেলা প্রশাসক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর দিকনির্দেশনায় গভীর রাতে দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত দু'শত শীতার্তদের গায়ে শীতের উষ্ণ কাপড় (কম্বল) জড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের পালী বটতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত দু'শত অসহায় শীতার্তদের পাশে শীত বস্ত্র কম্বল নিয়ে হাজির হন মানবিক ইউএনও অমিত রায়। পরে তিনি অসহায় দু'শত শীতার্তদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন এবং শীত নিবারণের চেষ্টা করেন।
রাতে কম্বল বিতরণকালে উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ শাহিনুর ইসলাম, মোঃ মুশফিকুর রহমান সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
শীত বস্ত্র কম্বল পেয়ে রইছা বেগম ও শিশু জান্নাতুন বলেন, রাতে ভাত খেয়ে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘুরে শুয়ে আছি হঠাৎ গাড়ির শব্দ। ঘুম থেকে উঠে দেখি ইউএনও স্যার কম্বল নিয়ে আমাদের গুচ্ছ গ্রামে এসেছেন। কনকনে শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে এমন সময়ে গরমের কাপড় কম্বল পেয়ে আমরা খুবই খুশি। আমরা ডিসি ও ইউএনও স্যারের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন!
ইউএনও অমিত রায় জানান, দিনাজপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম স্যারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক তাৎক্ষণিকভাবে এই শীতের উষ্ণ কাপড় (কম্বল) বিতরণ করা হয়।
তিনি জানান, এই শীতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষগুলো। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত মানুষগুলো এমনিতেই অসহায়ভাবে জীবন-যাপন করে থাকে। তাই জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম মহোদয়ের এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক সরকারের এই বিশেষ উপহার শীতার্তদের গায়ে জড়িয়ে দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছি। দিনের বেলায় এ সকল লোকজন বিভিন্ন জায়গায় পেটের দায়ে কাজে ব্যস্ত থাকে বলে রাতের বেলায় খুঁজে খুঁজে তাদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিচ্ছি।এ কম্বল বিতরণ চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ্য করে সমাজের বৃত্তবানদেরকে এসকল অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।