মোঃ সাহাবুল আলম স্টাফ রিপোর্টার
রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় নগরচর গ্রামে মোসাঃ রোজিনা আক্তার তার নিজের বাড়ীতে বসবাস করেন। তার স্বামী মোঃ বাবুল হোসেন তিনি কোনো কাজকর্ম করতেন না। ঘুরে বেড়াতেন ও তার স্ত্রী রোজিনার কাছ থেকে হাত খরচ নিতেন। যদি কোনো কারণে হাত খরচ দিতে না পারলে তখনই স্ত্রী কে মারধর করতেন স্বামী বাবুল হোসেন।
মোসাঃ রোজিনা সাভার থানা রোড সংলগ্ন প্রাইম হাসপাতালে বুয়া পদে চাকুরী করতেন। সামান্য বেতনে কোনমতে কস্টে সংসার চলতো তাদের। অভাব অনটনে সংসার চললেও তার পিতা মাতা কে সংসারে অশান্তির বিসয় টি জানান নি রোজিনা। কিছুদিন যেতেই না যেতে রোজিনাকে ব্যবসা করার কথা বলে টাকা চাইলেন বাবুল হোসেন। রোজিনা তাকে বিশ্বাস করে টাকা দিলেন ব্যবসা করার জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে টাকার কোনো হোডিস পাওয়া যায় নি। বরং বাবুল হোসেন আরও চাপ দেওয়া শুরু করলো আর কিছু টাকার জন্য রোজিনা তাকে টাকা দিতে অস্বিকার করলো। বাবুল হোসেন সারাদিন বাসায় আসলো না রাতে বাসায় এসে রোজিনা কে চুলের মুঠি ধরে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে গেলো ও উল্টো পাল্টা মারধর শুরু করলো রোজিনা কে। তারপর ও মুখ বুজে সজ্জ করলো রোজিনা।
তার কিছুদিন পর ছোট বোন এর স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পিতাঃ মোঃ আলী হোসেন সাঃ পুলের টেক থানাঃ উওর খান ডিএমপি গাজিপুর।
তার সাথে সংযুক্ত হয়ে বাবুল হোসেন রোজিনা কে বারবার নির্যাতন ও মারধর করেন।
পরবর্তী তে জানা গেছে দুই ভায়েরা সংযুক্ত হয়ে তাদের দুই বোনকে টাকার জন্য অত্যাচার ও নিযার্তন করতেন।
তারা কোনো কাজকর্ম করতেন না। রোজিনা প্রাইম হাসপাতালে বুয়া পদে চাকুরী করতেন ও তার ছোট বোন ভারটেক্স গার্মেটন্সে চাকুরী করে জিবীকা নির্বাহ করতেন।
তাদের সকল কথা অনুযায়ী যা চাইতো রিন করে হলেও টাকা এনে দিতেন রোজিনা ও তার বোন। এভাবে কিছুদিন পর তারা ২০,০০০ টাকা চাইলো রোজিনার কাছে তিনি টাকা দিতে অস্বিকার করলে তাকে ঐ দিন গালাগালী করে দুই ভায়েরা শুশুর বাড়ী থেকে বেড়িয়ে যায়। পড়দিন সকালে রোজিনা ও তার বোন বাসা ত্যাগ করে কর্মস্থলে গেলে ঠিক দুপুর ১.৩০ মিনিটে বাসা ফাঁকা পেয়ে তার শাশুড়ী আলমারী থেকে জমানো মোট ৫০,০০০ হাজার টাকা ও ১ টি ৮ আনি ওজনের স্বর্নের চেন, ৪ আনা ওজনের ২ জোড়া কানের দূল, সর্ব ওজন১২ আনা মূল্য। এসব আটক করে ঐ ঘরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় দুই ভায়েরা বাবুল ও জাহাঙ্গীর। এ আগুনে পুড়ে গেছে অনেক আসবাবপত্র ও লেপ তোসোক বালিস ও ঘরের ভিতর অনেক মালপএ। ঘরের সম্পূর্ণ মালামাল আগুন লাগার আগেই আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে ও ঘরের ভিতর আগুন দেখতে পেয়ে নিভানোর কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এ আগুনে পুড়ে গেছে ঘরের ভিতর বেশ কিছু জিনিসপত্র এর বেশি তেমন কোনো খয় খতি হয় নি জানিয়েছেন রোজিনা ও তার পরিবার লোকজন। ঐ ঘটনাস্থল থেকে পলাতক দুই ভায়েরা।
এরপর বিবাদী কোনো খোজ খবর পাওয়া যায় নি। জানতে পারি যে আমাদের দুই বোনের স্বামী এ স্বরজন্ত করে সম্পূর্ণ টাকা ও স্বর্ন নিয়ে পলাতক দুই ভায়েরা। এলাকায় এ বিসয় টা জানাজানি হলে এলাকা বাসী সাভার মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলে। রোজিনা সাভার মডেল থানায় উপস্থিত হয় এবং সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলেন।তিনি এটাও প্রকাশ করেন আমি খুব অসহায় একজন নারী বিপদে পড়ে আইনের আশ্রয়ে আমি ও আমার পরিবারের প্রতি সহযোগিতা কামনা করছি সাভার মডেল থানা অফিসার কর্মকর্তার নিকট।
রোজিনা সাভার মডেল থানায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ও সুষ্ট তদন্ত করে প্রদক্ষ আসামি কে আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি জানাচ্ছি।