সত্যের খোঁজে আমরা
কখনো ডানে, কখনো বাঁয়ে এভাবে হেলেদুলে চলত ৷ ভরা বর্ষায় দুই বন্ধু একদিন ঘুরতে বের হলো ৷ সাপ তার স্বভাব সুলভ রাজকীয় ভঙ্গিতে ডানে বাঁয়ে হেলে দুলে চলতে লাগল ৷ এতে সাপের শোল মাছের সাথে চলতে সমস্যা হচ্ছিলো ৷
দু’জনের চলার পথের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য শোল মাছ সাপকে বললো, “বন্ধু, তুমি একটু সোজা হয়ে হাঁটলেইতো পারো৷
সাপ বললো, “বন্ধু, যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা ৷ তুমি আসলে আমাকে দেখতে পারো না, তাই আমার চলন তোমার কাছে বাঁকা মনে হয়।
শোল মাছ বললো, “ব্যাপারটা আসলে তা নয় ৷ তোমার বাঁকা চলার কারনে আমি তোমার পাশাপাশি হাঁটতে পারছি না ৷”
সাপ বললো, “বাপ-দাদার চৌদ্দ পুরুষ ধরে আমরা এভাবে চলে আসছি, আর তুমি আসছো আমাকে পথ চলা শেখাতে?”
একেতো শোল মাছের চেয়ে লম্বা বলে অহংকারে সাপের পা পড়ে না, তার উপর সাপের অন্তর ভরা বিষ ৷ শোল মাছ যতই তাকে বোঝাতে চায় ততই সে ফোঁস ফোঁস করে ফুলতে থাকে ৷ তর্ক- বিতর্কের এক পর্যায়ে তারা জেলের জালে ধরা পড়ে ৷ জেলে সাপকে মেরে সোজা করে ঝুলিয়ে রাখে ৷ শোল মাছ তখন আফসোস করে বললো, “বন্ধু, সেইতো সোজা হলি, তাও মরনের পর!”
অহংকার আর অন্তর ভরা বিষ নিয়ে যারা মানুষকে বাঁকা পথে পরিচালনা করেন, তারা আশা করি এবার একটু সোজা পথে চলবেন ৷ মরনের পর সোজা হলেও কোন লাভ হবে না।