গাইবান্ধা :পুতিনিধি
সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধা জেলার মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে ইলিশ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতন মূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন জেলা- উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তর।
(০৭ই অক্টোবর শুক্রবার)সারাদেশের ন্যায় অন্যান্য প্রতিটি জেলার মত গাইবান্ধা জেলাতে নিরাপদ
মৎস্য প্রজনন নিশ্চিত করে মা ইলিশ রক্ষা করতে আজ ০৭ই অক্টোবর হইতে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর, ইলিশ মাছ বিক্রয় নিষিদ্ধ , ইলিশ পণ্যপরিবহন নিষিদ্ধ, ইলিশ হোর্ডিং ও বাজারজাতকরণসহ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, জেলার প্রত্যেকটি জেলেকে ২৫ কেজি চাল দেওয়া হবে।
এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন
গাইবান্ধা জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা – ফয়সাল আজম বলেন, আজ ০৭ই অক্টোবর হইতে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২দিন এই ঘোষনাটি চলমান থাকবে। জেলার প্রত্যকটি জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীর মাঝে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তুলতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিস উপভোক্তাদের ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করেছেন জেলা মৎস্য অধিদপ্তর।
ফয়সাল আজম আরো বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনের মধ্যে রয়েছে সচেতনতামূলক প্রচারণা, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পোস্টার-ব্যানার লাগানো, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, পণ্যবাহী পরিবহন চেকিং, প্রত্যকটি
জেলেদের মাঝে ভিজিএফের ২৫কেজি চাল বিতরণ।
উক্ত বিষয়টির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি নদ-নদীতে ইলিশ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচিরআয়োজন করেছে।
এবিষয়ে আরো বলেন,
ইলিশ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে সরকার যে বিধিনিষেধ দিয়েছেন তা যদি কোনো ব্যক্তি যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ ধরে, ইলিশ মাছ বিক্রি করে , পণ্যবাহীপরিবহন করলে সম্প্রতি আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের দায়ে অপরাধীদের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমান ও কারাদণ্ড করা হবে জানান তিনি।