সিরাজগঞ্জে মা কে নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ী ফিরলেন প্রবাসী ছেলে তোতা মিঞা,

সিরাজগঞ্জে মা কে নিয়ে হেলিকপ্টারে বাড়ী ফিরলেন প্রবাসী ছেলে তোতা মিঞা,

রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ঢাকা) থেকে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার শ্যামপুর দারুল উলূম কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে মা সহ পাঁচজনকে নিয়ে নিজ গ্রামে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফিরলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান ওরফে তোতা মিঞা।

মিজানুর রহমান তোতা মিঞা সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী- মোছাঃ শান্তি বেগম দম্পতির তৃতীয় ছেলে।

২৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুপুর আড়াই টার সময় কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নে শ্যামপুর দারুল উলূম কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে তাঁর মা, ছেলে-মেয়ে, ভাই ও শ্বশর সহ পাঁচজনকে সাথে নিয়ে নিজ গ্রামে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফেরেন।

মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলিকপ্টারে বাড়ী ফিরবেন শুনে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ, ছোট-বড় ছেলে- মেয়েরা মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়। এই দৃশ্য দেখতে দারুণ খুশি হয়েছেন তাদের স্বজন ও এলাকাবাসীরা।
গ্রামের মানুষ কখনো হেলিকপ্টার কিভাবে মাটি ছোঁয় তা দেখেনি। হেলিকপ্টার কখনো এতো কাছ থেকেও দেখিনি অনেকেই। প্রচন্ড শব্দ ও বাতাসে চারদিকে যেন ভূমিকম্প। নিরাপত্তার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছে কামারখন্দ থানা পুলিশ।
জীবিকার তাগিদে গত প্রায় ১৭ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় কাজ করছেন মিজানুর রহমান তোতা মিঞা। তার আয়ে সচ্ছল এখন পুরো পরিবার। শুধু তাই নয়, তার সহায়তায় উপকৃত হয়েছেন নিকট আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার মানুষ। সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে থাকেন।
মালয়েশিয়া প্রবাসী মিজানুর রহমান তোতা সাংবাদিকদের বলেন, মায়ের স্বপ্ন ছিল বিদেশ থেকে ঢাকায় আসার পর মাকে নিয়ে হেলিকপ্টার করে বাড়ি ফিরবো। সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার মতো প্রত্যেক সন্তানের উচিত মায়ের স্বপ্ন পূরণ করা। আমার হেলিকপ্টারে বাড়ি ফেরায় এলাকাবাসীও খুশি হয়েছে ও ফুল দিয়ে বরণ করেছেন।
ছোটভাই মো. মোকবুল প্রামানিক বলেন, হেলিকপ্টার ভাড়া প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঢাকা হতে গ্রামের বাড়িতে ফিরতে সময় লেগেছে প্রায় ২০ মিনিটের মতো।

প্রবাসীর বন্ধুরা জানান, আমার বন্ধুর অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল আমি প্রবাস থেকে বাড়ী ফিরতে মাকে নিজ গ্রামে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে ফিরবো। সেই স্বপ্ন আজ তার পূরন হয়েছে। তার আরো একটি আশা ছিল গ্রামে একটি অট্টলিকা করবেন সে টাও বন্ধু করেছেন। তোতা মিঞা একজন খুব সৎ মানুষ সব সময়ের জন্য মানুষের উপকার করতে পছন্দ করেন। এমন বন্ধু সকলের থাকা উচিত বলে মনে করি আমরা বন্ধুমহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *