দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃ ওয়াজ কুরনী
মুসলিম সম্প্রদায়ের আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা ও কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হাকিমপুর হিলিতে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ভারতীয় মসলার দাম। কুরবানির ঈদের আরো প্রায় এক মাস বাকী। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ভারতীয় মসলার দাম। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিটি মসলার দাম বেড়েছে।
১৯ মে, রবিবার হিলি মসলা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দূর দূরান্তর থেকে অনেকে এসেছে হিলিতে মসলা কিনতে। হিলিতে সুলভ মূল্যে ভারতীয় ভালো মানের মসলা পাওয়া যায় এমন কথা শুনে অনেকে এসেছে।
হিলি বাজারে মসলা দোকানে দেখা গেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬০০ টাকা কেজির জিরা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে, ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরের কালো এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরের সাদা এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০ টাকায় এছাড়াও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে লং, দারুচিনি, গোলমরিচসহ সব ধরনের মসলার।
বাহিরে থেকে হিলি বাজারে মসলা কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, এখনও কুরবানির ঈদের বেশ কয়েকদিন বাকি। আর এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে মসলার দাম। কিছুদিন পর আরও বাড়তে পারে।
আর বিক্রেতারা বলছেন, এসব মসলা ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ভারত থেকে বেশি মূল্যে আমদানি করতে হচ্ছে বলে এসব মসলার দামও বেড়েছে।
পলাশবাড়ী থেকে হিলিতে আসা ফারুক হোসেন বাবু বলেন, শুনেছি এখানে মসলার দাম কম। তাই মসলা বাজারে এসেছি কিছু মসলা ও জিরা কেনার জন্য। কিন্তু দেখতেছি সব মসলার দাম বেড়েছে। একমাস আগে যে জিরার কেজি ছিল ৬০০ টাকা, সেই জিরা আজ কিনতে হলো ৭৫০ টাকা কেজি। যদিও আমার ওখানেও মসলার দাম প্রায় সমান হবে! তবুও এখানকার মসলা অনেক ভালো তাই কিছু মসলা ও জিরা প্যাকেট কিনলাম।
পার্শ্ববর্তী বিরামপুর থেকে আসা মাসুম আহমেদ বলেন, প্রতি বছর কুরবানির ঈদের আগেই সব ধরনের মসলার দাম বাড়ে। এবারও ঠিক তাই হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কালো এলাচ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। সাদা এলাচ ২ হাজার ৮০০ কেজি দরে। আর আজ বিক্রি হচ্ছে কালো এলাচ ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে ও সাদা এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে।
হিলি বাজারের মসলা বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, কুরবানি ঈদের আগে জিরাসহ সব ধরনের মসলার চাহিদা বাড়ে। এর ফলে দাম ও বৃদ্ধি পায়। আর জিরা ও এলাচ ভারত থেকে হিলিতে আমদানি কর হয়। আমরা যারা স্থানীয় বাজারের বিক্রেতারা আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে বিক্রি করি। আমদানিকারকরা আমাদের বলেছেন, ভারতেই নাকি জিরা ও এলাচের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে বেড়েছে। তাই তাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরও আমদানিকারকদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই ক্রেতাদের কাছে আবার বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কুরবানির ঈদ পার হয়ে গেলে জিরাসহ সব ধরনের মসলার দাম কমে আসবে বলে আশা করছি।