قُلِ ٱللَّهُمَّ مَٰلِكَ ٱلْمُلْكِ تُؤْتِى ٱلْمُلْكَ مَن تَشَآءُ وَتَنزِعُ ٱلْمُلْكَ مِمَّن تَشَآءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَآءُ بِيَدِكَ ٱلْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
কুল্লিলা-হুম্মা মা-লিকাল মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশাউ ওয়া তানঝি‘উল মুলকা মিম্মান তাশাউ ওয়াতু‘ইঝঝুমান তাশাউ ওয়া তুযিল্লুমান তাশাউ বিইয়াদিকাল খাইরু; ইন্নাকা ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন কাদীর।
বলুন ইয়া আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানে পতিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।
মহান আল্লাহ তায়া’লা রাব্বুল ইজ্জত সকল কিছুর মালিক। তাতে আমাদের কোন সন্দেহ নাই। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি ১৮হাজার মাখলুকাতের মালিক। অবশ্যই তিনি সকল কিছু জানেন।
সরকারে মদিনা নূর উল আলা নূর রহমাতুল্লিল আলামীন নবীর নবী বিশ্ব নবী আহমদ মুজতবা মুহাম্মদ মুসতফা হযরত মুহাম্মাদ সাঃ আমাদের তথা উম্মতে মুহাম্মদী গণের উদ্দেশ্যে বলেছেন যে, তোমাদের জন্য দুটি সত্য রেখে গেলাম একটি আল কুরআন আরেকটি আমার আহলে বায়াত। এই দুটিকে তোমাদের হৃদয়ে আঁকড়ে ধর।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইহজাগতিক জীবনে দিয়াছেন সুখ শান্তি তার পিছনে দিয়াছেন দুঃখ ও লাঞ্চনা।আমরা সুখই খুঁজি।সবাই সুখই চায় এটাই স্বাভাবিক। কেউ দুঃখে থাকুক আমরা যেমন চাইনা আল্লাহও তেমনি চাননা।তাই সকল ধনের ধনী একমাত্র আল্লাহ। আমরা গুন গীতি গাইব তিনি খুশি হবেন এবং আমাদেরকে অতি উত্তম পুরুষ্কার প্রদান করবেন।
দুনিয়ায় লক্ষ্য করে দেখুন কেউ একই কাজ করে সারাদিন হাজিরা পায় ৫০০ আবার কেউ ৭০০ কেউবা ১০০০।এখানে যে যেমন কর্মীক কর্ম নিবেদন করে সে ঠিক তেমনই মজুরি ভোগ করে। সবাই যার যার পাপ্য পেয়ে খুশি।
আমরা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সেরা সৃষ্টি আশরাফুল মাখলুকাত। তিনি আমাদেরকে আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুন দান করেছেন যা অন্য কোন সৃষ্টির মাঝে দেন নাই।তাই আমরা সেরা জীব এবং সকলকেই আমরা শাসন করতে পারি।
আল্লাহ তায়া’লা সব সময়ই ন্যায় ও সত্যবাদীদের সাথে। যুগে যুগে সত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য একেকবার একেকজন পথপ্রদর্শক প্রেরণ করেছেন এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
আরবের অন্ধকার যুগের সময় যে সময়কে বলা হয়েছে আইয়ামে জাহেলিয়াত এর যুগ। যে সময়ে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তখন হয়নি।
সেই ফিতনা ফেসাদ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে আবির্ভাব ঘটালেন রহমত স্বরুপ তাঁরই হাবিব মা আমেনা (আঃ)এঁর উদরে মুহাম্মদ মুসতফা(সাঃ) কে। ধীরে ধীরে আরব আলোকিত হতে লাগলো। ছড়িয়ে পড়তে লাগলো সমগ্র মহাবিশ্বে।আমরাও আজ জানতে পেরেছি তাঁরই দেখানো সত্যের পথ ও পবিত্র বাণী।
তিনি গায়েবের খবর জানলে ওয়ালা। এখনো তিনি আমাদের মাঝেই হাজির নাজির আছেন ও থাকবেন। তিনি পরিষ্কার বুজেছেন ইহলোক থেকে পর্দায় চলে যাবার পরে উনার উম্মত আবারও ফিতনা ফেসাদে লিপ্ত হবে। তাই তিনি আল কুরআন ও উনার আহলে বায়াতের কথাই আমাদের উদ্দেশ্যে বলে গেলেন। এছাড়া আর কিছুর কথা তিনি বলেননি।
আল কুরআন ও আহলে বায়াত একে অন্যের সম্পূরক। যা আলাদা করে দেখার কোন উপায় নাই।
তাই হুজুর পাক সাঃ আমাদের উদ্দেশ্যে তাগিদ দিয়েছেন আল কুরআন ও আহলে বায়াতকে হৃদয়ে আঁকড়ে ধরার জন্য।
যেহেতু পথ প্রদর্শক হিসাবে অলি আউলিয়াগণই বিদ্যমান তাই তাঁরাই আমাদের অছিলা।
অছিলা ছাড়া যেমন কিছুই হয়না বা পাওয়া যায়না। তাই আমাদের সত্য জানা ও বুঝার জন্য অছিলা অন্যেশন করতেই হবে।
যারাই এর বিরোধীতা করে তারাই মুনাফেক মুশরেক,কাফের।
তো অছিলার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের ধন দৌলত দান করেন আবার কোন অছিলার মাধ্যমেই তা কেড়ে নেন।
উছুল হতে হবে অবশ্যই সত্যের পথ প্রদর্শনকারী।যাতে রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের অনাবিল শান্তি ও সুখ।
কিনিই দেখাতে পারেন আল্লাহ ও রাসুলের সত্য পথ।তিনিই পারেন আল্লাহ ও রাসুলের নৈকট্য লাভের পথ।
তাই সকলের উদ্দেশ্যে বলবো আসুন সুন্দর আগামী স্বপ্ন গড়তে আহলে বায়াতের পথে। যে পথে নাই হিংসা পরনিন্দা, নাই হানাহানি। সে পথই মাওলা আলী আঃ এঁর আর রাসুল সাঃ এঁর তথা স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের।
আখের দিওয়ানা ওয়ানিল হামদু লিল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
জাজাকাল্লাহ খাইর
লেখকঃ শেখ শিপলু মাইজভাণ্ডারী