সত্যের খোঁজে আমরা
সোনারগাঁও প্রতিনিধি:
সোনারগাঁয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দুলাল মিয়া(৫০) মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার ৪ দিন পর মৃত্যুবরণ করেন। দুলাল মিয়া সোনারগাঁ উপজেলার মোরগাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত শাহাজাহানের ছেলে। গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকালে স্থানীয় রাজ্জাক ও এমদাদ দলবল নিয়ে দুলাল মিয়া তার বড় ভাই ফজল মিয়া ও ভাতিজা নির্জন এর উপর হামলা চালায়। এ সময় ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের দ্বারা রক্তাক্ত জখম হয়। ধারালো অস্ত্র দ্বারা পেটে আঘাত করলে নাড়ি-বুড়ি ফুটো হয়ে যায় এবং পেট থেকে ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। রক্তাত্ব আহত অবস্থায় সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া মেডিকেল কলেজে আই সিওতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঘটনার চারদিন পর রাত্র আনুমানিক ১.৫০টার সময় মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনা বুধবার (৪অক্টোবর) সকালে আহতের ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০-১৫ জন অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা,মো.রাজ্জাক(৬০), মোহাম্মদ নাহিদ (২৫), মো.মহাসিন (৫৫),মো.ইমদাদ হোসেন (৫৫),জামান প্রধান,(৪৫),শামীম (৪২) সজীব(৩৮) শাহ আলম (৩৫)।
মামলার বাদী ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর জানান, তার বাবা ফজল মিয়ার সঙ্গে রাজ্জাকের জমি জমার ব্যবসা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার(৩ অক্টোবর), সকাল সাড়ে দশটার দিকে ৫নং আসামি মো.জামান প্রদান ফজল আলী মিয়াকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। এবং ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় বলে জানা যায়। একপর্যায়ে রাজ্জাক তার দলবল নিয়ে ফজর আলী মিয়াকে মারধর করতে শুরু করে।
এ খবর পেয়ে ফজল মিয়া তার ছেলে নির্ঝর ও তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী দুলাল মিয়াকে ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া গুরুতর আহত হওয়ার পর স্থানীয়রা ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসাদিন অবস্থায় রাখার চার দিন পর মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে সোনারগাও থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, মামলার এজাহার ভুক্ত ২ আসামীকে আমরা ইতিমধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি এবং বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।