একটি পরিবার তাশরীফ-১ লঞ্চে করে একটি মরদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। কতগুলো ছবি সামাজিক যোগাযোগে বাসছে দেখা যায়।
জানাযায় গতকাল বিকালে ঢাকা কোনো এক হাসপাতালে মারা যায় ক্যান্সার আক্রান্ত এক ব্যাক্তি।
স্বজনরা দ্রুত সদরঘাট এসে কফিন ছাড়াই তারাহুরো করে লঞ্চে উঠতে চেয়েছিল। কিন্তু কোন লঞ্চ তাদেরকে উঠায়নি! লা-শ দেখে।
তাশরীফ -১ লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক অনুনয় বিনয় করার পর জায়গা মিলে ছাদে!
কতটা অমানবিক বিষয় চিন্তা করছেন, এই কনকনে শীতের মাঝে লঞ্চের ছাদে করে হাতিয়া যাওয়া। এই জায়গাটাতে প্রচণ্ড বাতাস থাকে, আবার নদীর বাতাস। স্বজনরা যে জায়গাটাতে বসা। এটা হচ্ছে ইঞ্জিলের হাওয়া বের হওয়ার একটা জায়গা। এখানে প্রচুর পরিমাণ শব্দ হয়ে থাকে। সহ্য করা যায় না। আর এই লোগগুলো এখানেই বসা। তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় শীত নিবারণের পোষাক নেই। ঠাণ্ডায় বসে আছে।
যেসব লঞ্চ লা•শ বহন করতে চায় না, সেসব লঞ্চকে উচিৎ আমাদের বয়কট করা। কারন তাদের কাছে আমরা জীবিত অবস্থা ব্যবসায়ী পণ্য মৃ•ত আমরা মূল্যহীন। আর লঞ্চ এর ভিতরে লাশ এর জন্য আলাদা কেবিন এর ব্যবস্থা করা হোক।