হরেক রকম মানুষ দেখি চেম্বারে।

হরেক রকম মানুষ দেখি চেম্বারে।


অনেকের কথায় কষ্ট পাই।
অনেকের কথায় বুক থেকে দীর্ঘশ্বাস বের হয়।
অনেকের কথায় কাজ করার অনুপ্রেরণা পাই।
আমি আমার নিজের দীর্ঘশ্বাস কে ভয় পাই, কারণ মাঝে মাঝে অনেক কিছু দেখি চোখের সামনে।
আজ একজন মিষ্টি নিয়ে এলেন।
একজন অপারেশন এর রুগীর গার্ডিয়ান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বললেন আপনার সার্ভিস টাকা দিয়ে পরিমাপ করা যাবেনা।
অনেক কষ্ট করেছেন।
একজন চেম্বারে ঢুকে অনেক কান্নাকাটি করেছেন তার মেয়েকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করার জন্য।
কারণ ৬ মাস যাবৎ ঘুরছেন।
আমি রোগ নির্ণয় করে দিয়েছি।
আমি কথা দিয়েছি, সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
একজন ফাইল ছিড়ে ফেলে দিয়ে অনেক বাজে কথা বলেছেন রিপোর্ট তার ইচ্ছেমত সময়ে রিপোর্ট দেখিনি বলে, আমি আল্লাহকে বলেছি আল্লাহ যেন তাকে হেদায়েত করেন। জোড় করে ক্ষমতা দেখিয়ে কখনো চিকিৎসা আদায় করা যায়না।
একজন চিকিৎসকের খাওয়া, রেস্ট, সংসার, বাচ্চা আছে , তার বাচ্চাও না খেয়ে থাকে, তার ও বাসায় যেয়ে হাত ধুয়ে রান্নাঘরে ঢুকতে হয় , সে ভোর থেকে কাজ করা শুরু করে, তাকেও খারাপ অপারেশন এর রুগী থাকলে ঘন্টায় ১০ বার ফোন ধরতে হয়, তাকেও আতংকে হাতে ফোন নিয়ে ঘুমাতে হয় যাতে কোন রুগী পোস্ট অপারেটিভ এ খারাপ হলে কোন বিলম্ব ছাড়া ফোন ধরতে পারে এটা বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করতে পারেনা।
টাকা দিয়ে আমাকে কখনো কেনা যায়নি, এবং যাবেও না।।
যখন ফিক্সড বেতনের চাকরী করতাম তখন চাইলেই ফাঁকি দিতে পারতাম, কিন্তু পারিনি, কারণ বিবেক বাধা দিতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *