মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুর প্রতিনিধ
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক করে ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে ভারত সরকার। দুদিন বন্ধ থাকার পর নতুন শুল্কে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এর ফলে কমতে শুরু করেছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ১০৫ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভারত থেকে নতুন শুল্কে পেঁয়াজ আমদানির কারনে কমেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে আসছে স্বস্থি ফিরবে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে বলছে ভোক্তারা।
বুধবার হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশিকুল আলম বলেন, দেশের বাজারে নিত্যপণ্যের দামের কোন ঠিক নাই। প্রতি দিন কোন পণ্যের দাম কমে আবার কোন পণ্যের দাম বাড়ে। বাজার নিয়ন্ত্রন থাকে না। আমরা চাই নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হোক। তবে আগে উপজেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিদপ্তর মাঝে মাঝে বাজার মনিটরিং করতো। কিন্তু এখন সেটাও করেনা। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। কিছু কিছু ব্যবসায়ী নিজের খেয়াল খুশি মতো বাজারে নিত্যপনণ্যের দাম রাখছে। ফলে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারনে কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের দাম। যদি প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে থাকতো তাহলে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, ভারত থেকে নতুন শুল্কে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। যার ফলে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আমরা বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ১০৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তকে ক্রেতা সংখ্যা অনেক কম। আমদানি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম আরোও কমতে পারে বলেও জানান এই বিক্রেতা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। সেই সঙ্গে প্রতি মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানিতে ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ৪০৫ মার্কিন ডলার করেছে। এতে করে দেশের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করবে এবং দামও কমে যাবে।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে বুধবার দুপুরে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতীয় ৩টি ট্রাকে ৭৫ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।