দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃ ওয়াজ কুরনী
দিনাজপুরের হিলিতে পবিত্র ঈদুল আজহা অর্থাৎ কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য সুমন সরকারের খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে উন্নত জাতের ৮৫টি গরু।
এসব গরুর দাম সর্বনিম্ন ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। খামারে ১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খামারটির দেখাশোনা এবং চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে।
হিলি চুড়িপট্টিতে (ক্যাম্পপট্টি) সুমনের খামারে গিয়ে দেখা যায়, খামারে সারি সারি ভাবে দাঁড়িয়ে আছে উন্নত জাতের গরু। গরুগুলো মোটা, তরতাজা ও বিভিন্ন রঙের। আর মাত্র ২২ দিন পর কোরবানির ঈদ। এসব গরু ঈদের বাজারে বিক্রি করা হবে। এখন থেকেই খামারে গরু দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
খামার দেখাশোনার জন্য ১০ জন শ্রমিক মাসিক বেতন হিসাবে কাজ করছেন। খামারের পাশে রয়েছে ঘাসের ক্ষেত। গরুগুলোকে ঘাসের পাশাপাশি খড়, ভুষি, খৈল ও ছোলা খাওয়ানো হয়। দিনে প্রতিটি গরুর খরচ বাবদ মালিকের ব্যয় হয় ৪০০ টাকা। আবার একেকজন শ্রমিকের মাসে বেতন ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। কোরবানিতে গরুগুলো বাজারজাত করে অধিক মুনাফার আশা করছেন সুমন।
এ সময় একজন শ্রমিক বলেন, খামারের যত্ন নিতে আমরা কোন ত্রুটি রাখি না। কোরবানি ঈদ আসতে এখনও বেশি কিছুদিন বাকি আছে। আমরা গরুগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবো। মালিক যাতে লাভবান হয় সেভাবে খামারের যত্ন নিচ্ছি।
খামারের মালিক সুমন সরকার বলেন, নিজেকে স্বাবলম্বী করতে ৪ মাসের প্রজেক্ট নিয়ে খামার করেছি। আমার খামারে ৮৫টি গরু আছে, এসব গরু ১ লাখ থেকে সর্বোচ্চ দাম প্রায় ১০ লাখ টাকা হবে। রাজা-বাদশা নামের দুইটি গরু আছে, আশা করছি তাদের ১০ লাখ টাকা করে দাম পাবো। অনলাইনে কেউ যদি আমার খামারের গরু কিনতে চান, তাহলে আমি গরু পৌঁছে দিবো। কোরবানি ঈদে গরু বিক্রি করে আবার নতুন করে সংগ্রহ করবো।
সরকার যদি আমাকে সহযোগিতা করেন তাহলে আমার খামারটি আরও বাড়াতে পারবো বলেও জানান তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহবুবুর আলম বলেন, হাকিমপুর উপজেলায় মোট গরু, মহিষ ও ছাগলের খামার রয়েছে ৫০০টি। ঈদ উপলক্ষে ১৭ হাজার ৮৭০টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। তার মধ্যে চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার ২০০টি। চাহিদা ছাড়াও অতিরিক্ত রয়েছে ৭ হাজার ৭১৫টি পশু। হাকিমপুরের চাহিদা পুরন করেও বাঁকি কোরবানির পশুগুলো দেশের চাহিদা মেটাবে। আমরা সার্বক্ষণিক খামারিদের সুপরামর্শসহ সেবা দিয়ে আসছি।