দিনাজপুর প্রতিনিধি
মোঃওয়াজ কুরনী
মোকামগুলোতে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলিতে ৫০ টাকা কেজিতে নামলো পেঁয়াজের দাম। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি করছেন পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা।
আজ সোমবার (১৮ মার্চ) হিলি বন্দরের পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, তিন দিন আগেও যে দেশীয় হালি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি দুই সপ্তাহে আগে পেঁয়াজ কিনে ছিলাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। আজকে বাজারে এসে শুনি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় আমি ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম।
হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা সাদেক হোসেন বলেন,আজকে আমি পেঁয়াজ কিনলাম ৫০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজ তিন আগে কিনেছি ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।আজকে বাজারে এসে দেখি সবধরণের সবজির দামও কমে গেছে। আজকে বাজার করে খুব ভালো লাগলো। অনেকে তরিতরকারীর দাম কমেছে।
হিলি বাজরের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মোকারম হোসেন জানান, আমরা পাইকারী বাজার থেকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা দরে কিনে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে আগের তুলুনায় বেচাকেনা কমে গেছে।
হিলি বাজারের পাইকারী পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, বর্তমানে মোকামে প্রকারভেদে ১৬ থেকে ১৭ শত টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। কিন্ত তিন আগে মোকামে ২৭ থেকে ২৮ শত টাকা মন কিনেছি। সেই পেঁয়াজেই তো এখনোও অনেকে বিক্রি করতে পারিনি। মোকাম থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে আসতে না আসতেই বস্তাপ্রতি দুই থেকে তিন কেজি কমে যায়। এরপর বস্তাপ্রতি ১২০ টাকা পরিবহন খরচ দিতে হয়।সবমিলে ২০ থেকে ২৫ টাকা আমাদের লোকসান গুনতে হয়। তারপর যত ঝড় খুচরা ব্যবসায়ীদের উপর দিয়ে যায়। আমার কয়েক দিনে প্রায় ৬ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে। লোকসান হলেও তো আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারি না।