দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা
হেফজখানার মামুন হুজুরের আপন ভাগিনি। বয়স ৭ বছর।
ঘটনা; চরফ্যাশন জিন্না নগর থেকে একটি পিকনিক পার্টি আসে মংগল সিকদার বাজার। একই দিনে চরফ্যাশন থেকে ২ টি পিকনিক পার্টি আসাতে একটি স্হান নেয় ধলীগৌর নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ,অন্য টি স্হান নেয় ধলীগৌর নগর সরকারি প্রাইমারী বিদ্যালয়ের মাঠ। প্রাইমারী বিদ্যালয়ের মাঠ টি চারিদিকে ভাউন ডারী করা। একটি প্রাইভেট কারে করে জিন্না নগরের চেয়ারম্যান স্তী সহ কিছু মধ্যম ভি,আই,পি আসে ঐ গাড়ি দিয়ে। গাড়িটি দামী হওয়াতে মাঠের ভিতরে রাখে। ঐ মাঠের পাশে নাদিয়ার বাসা। খাওয়া দাওয়া শেষে। প্রাইভেট কারটি যাত্রা করলে গাড়ির পিছনে মামাতো এবং ফুফাতো ৭/৮ বছরের ভাই, বোন ছিল। গাড়ির ড্রাইভার পিছনের দিকে গাড়ি টার্ন করলে একজনের মুখের উপর গাড়ির চাকা উঠে। অন্য জন গাড়ির ভিতরে হাউমাউ করে কাঁদে। নাদিয়ার মুখের উপর চাকা পিস্ট হলে নাদিয়া মুখ এবং মাথা ফেঁটে যায়।
ঘটনাস্থলে নাদিয়ার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ভোলা নেওয়ার পথে নাদিয়া মারা যায়। সময় ৩ সেকেন্ড। নাদিয়া স্হানীয় মাদ্রাসায় হাফেজি পড়ে। বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল কোরানের হাফেজ বানাবে। আজ একটি ভুমিকম্পের সাথে তাদের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে যায়। অন্য জন চিকিৎসা ধীন আছেন। গাড়ির চালক পিছনে টার্ন না করলে এই দু:খ জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না।
ভি,আই,পিরা না আসলে এই গাড়ি ভিতরে ঠুকে না,মৃত্যু ও হয় না। আনন্দ ভোজন করতে এসে দু:খের সাগরে বাসিয়ে গেল পিকনিক পার্টি।
আল্লাহ যেন নাদিয়া কে বেহেস্তের উচ্চ মাকামে রাখে।