ভোলার বোরহানউদ্দিনে  ০৭ বছরের নিষ্পাপ  শিশুকে গাছে বেঁধে   অমানবিক নির্যাতন; দাদি গ্রেফতার

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ০৭ বছরের নিষ্পাপ শিশুকে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন; দাদি গ্রেফতার

খ্রিঃ রবিবার বোরহানউদ্দিন থানার এস আই মনজুর হোসেনের নেতৃত্বে ভোলার বোরহানউদ্দিন থানাধীন বড়পাতা ০৪নং ওয়ার্ডস্থ ভিকটিম মোসাঃ তানিশা (০৭) কে অমানবিক নির্যাতন করে গাছের সাথে দিনভর বাধে রেখার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামী মনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ২৩/০৬/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় আসামী মনোয়ারা বেগম মোবাইল হারানোর অজুহাতে বোরহানউদ্দিন থানাধীন বড়পাতা ০৪নং ওয়ার্ডস্থ ভিকটিমের বসত বাড়ীর সামনে ভিকটিম মোসাঃ তানিশা (০৭) এর মাথার চুল ধরিয়া এলোপাথারীভাবে মাটিতে আছাড় মারতে থাকে ও লোহার প্লাস দিয়া ভিকটিমের ডান হাতের তর্জুনি আঙ্গুল টানিয়া রক্তাক্ত জখম করে ভিকটিম তানিশাকে গাছের সাথে দিনভর বাধে রাখে অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে এবং ভিকটিমকে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকী প্রদান করে।

ভিকটিমের মা মোছাঃ ছোনিয়া বেগম (২৫), পিতা-মোঃ হোসেন আলী, সাং-বড় পাতা ০৪নং ওয়ার্ড, দেউলা ইউনিয়ন, থানা-বোরহানউদ্দিন, জেলা-ভোলা বোরহানউদ্দিন থানায় হাজির হয়ে লিখিতভাবে জানান যে, ভিকটিম মোসাঃ তানিশা (০৭) বাদীনির ১ম পক্ষের মেয়ে। ধৃত আসামী মনোয়ারা বেগম বাদীনির ১ম পক্ষের শাশুরী। ভিকটিম মোসাঃ তানিশা (০৭) এর পিতা মোঃ হারুন এর সহিত বাদীনির বিগত ০৬ বছর পূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।তাহাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর হইতে বাদীনি ও তাহার মেয়ে তানিশা বাদিনীর পিতার বাড়িতে বসবাস করতে থাকে।গত ০১ বছর পূর্বে বাদীনির ২য় বিবাহ হওয়ার পরেও ভিকটিম তানিশা বাদীনির পিতার বাড়ীতে বসবাস করত। গত ০২ মাস পূর্বে এজাহারনামীয় আসামী মনোয়ারা বেগম স্বেচ্ছায় ভিকটিম তানিশার ভরন পোষন ও দায়িত্বভার নেওয়ার কথা বলিয়া ভিকটিকে আসামীর বাড়ীতে নিয়া যায়।পরবর্তীতে আসামী মনোয়ারা বেগম বিভিন্ন কাজের অজুহাতে ভিকটিম তানিশার উপর অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে।

এ সক্রান্তে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানার মামলা নং-২৯ ০৬/২০২২ ইং, জিআর-২১৭/২২ (বোর), ধারা-শিশু আইন ২০১৩ এর ৭০ রুজু করেন।

ভোলা জেলার পুলিশ সুপার বিষয়টি অবগত হলে বোরহানউদ্দিন থানাকে দ্রুত সময়ে আসামি গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *