ছাতকে দু’গ্রামবাসীর সং-ঘ-র্ষ নি-হ-ত ১ আ-হ-ত ৫০ ও আটক ১৯। সুনামগঞ্জের ছাতকে তুচ্ছ

ছাতকে দু’গ্রামবাসীর সং-ঘ-র্ষ নি-হ-ত ১ আ-হ-ত ৫০ ও আটক ১৯। সুনামগঞ্জের ছাতকে তুচ্ছ

দৈনিক সত্যের খোঁজে আমরা

ঘটনার জের ধরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে মাইকে ঘোষনা দিয়ে দফায় দফায় সং-ঘ-র্ষের ঘটনা ঘটেছে।(গত ০১ মার্চ ) বুধবার রাতে শহরের সুরমা সেতুর নতুন সংযোগ সড়ক এলাকায় এ সংঘ-র্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী ওই সংঘ-র্ষের ঘটনায় সাইফুল আলম (৪০) নামে একজন নি-হ-ত হন। সে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে। এই ঘটনায় পথচারীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে রেললাইনের সড়ক সংলগ্ন বেশ কয়েকটি দোকানপাঠ ভাংচুর ও লুটপাঠ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত নাইমুল ইসলাম, লালু মিয়া, মামুন মিয়াসহ ৬ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১৪ রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলার চেচান গ্রামের দুই কিশোরী মেয়ে সুরমা সেতু এলাকায় বেড়ানো শেষে ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু পয়েন্ট সংলগ্ন মাঠের পাশে এসে দাড়ায়। এসময় বাঁশখলা এলাকার কয়েকটি যুবক ওই মেয়েকে উদ্দেশ্যে করিয়া অশোভন আচরণ করে। এসময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের কয়েকজন যুবক মেয়েদের সাথে অশোভন আচরনের প্রতিবাদ করে। এসময় বাঁশখলা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের যুবকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মুক্তিরগাঁও গ্রামের মামুন মিয়া (২৫)কে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষের যুবকরা। এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বাঁশখলা ও মুক্তিরগাঁও গ্রামে মাইকে ঘোষনা দিয়ে শত শত লোকজন দু’পক্ষ দা, ছুলফি, লাঠিসোটা ও ইট-পাঠকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পূরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আতংকে সড়কে থাকা লোজকন চারিদিকে দৌড়ঝাপ শুরু করেন। সংঘর্ষের শুরুতেই স্থানীয় মুরব্বী ও জনপ্রতিনিধিরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্ট করেও ব্যর্থ হন। দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের কারনে ছাতক-সিলেট ও ছাতক-সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে সড়ক সংলগ্ন বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও লুটাপাঠ করে নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাঠ করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১১৪ রাউন্ড টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০জন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মুক্তিরগাঁও গ্রামে ৬জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাইফুল আলমকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মুহাম্মদ মইনুল জাকির বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক ১৯ জনকে গত বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *