উপদেষ্টারা এখন কি করবেন?

উপদেষ্টারা এখন কি করবেন?

পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক মানবজমিনকে বলেন, আমরা এখনো ঘোষণাপত্রের খসড়া পাইনি। পাওয়ার পরে মঞ্চ এবং দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে, মতামত দেয়া হবে কি না।নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না খসড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, মতামত দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

জুলাই ঘোষণা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বসছে সরকার: জুলাই ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক দল, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছে সরকার। আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে এ বৈঠক অনুুষ্ঠিত হবে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, গত ১২ থেকে ১৫ দিন ছাত্রদের জুলাই ঘোষণাপত্রের অবলম্বনে আমরা একটা খসড়া প্রস্তুত করার চেষ্টা করেছি। সবার সঙ্গে আমাদের কথা বলা হয়ে ওঠেনি। তবে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত, নারী ও শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই একমত আছেন যে, ঘোষণাপত্রটি দিতে হবে। কিন্তু ঘোষণাপত্রটি কবে এবং ভেতরে কী কী কন্টেন্ট থাকবে সেই বিষয়ে আমরা এখনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি।

মূলত আগামী বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় একটি বৈঠক হবে। বৈঠকের স্থান এখনো নির্ধারণ হয়নি। আশা করছি বৈঠকের মধ্যদিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটা দলিল প্রণিত হবে। সেদিনই সরকার কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করবে সেটা স্পষ্ট হবে। আশা করি গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট এবং প্রত্যাশা এতে প্রতিফলিত হবে। সকল রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি ঘোষিত হবে। তিনি বলেন, ইনফরমালি আমরা অনেকগুলো দলের সঙ্গে কথা বলেছি। অধিকাংশ ক্লজেই উনারা একমত। পার্টির ইন্টারনাল ফোরামে এবং এক্সটার্নাল বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তারা নিশ্চিত হতে চাচ্ছেন। তারা নিজেরাও কিছু প্রস্তাব দিতে চাচ্ছেন। আমাদের ধারণা, ছাত্রদের সম্মতিতে সর্বদলীয় একটা বৈঠক হলে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা যাবে এবং ঘোষণাপত্র ফলপ্রসূ হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ। জাতীয় পার্টিকে আমরা কোনো বৈঠকে ডাকিনি। তাদের সঙ্গে এই বিষয়ে তাদের পরামর্শ আমরা যৌক্তিক মনে করছি না। বামপন্থি যেসব সংগঠন গণ-অভ্যুত্থানের সহযোগী ছিল উনাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা হবে। তিনি আরও বলেন, ৫ই আগস্টের মতো মোমেন্টটা আমরা রিক্রিয়েট করতে চাচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিভিন্ন দায়িত্বশীল যারা আছেন বিশেষ করে এডভাইজাররা থাকবেন। এতে সব রাজনৈতিক দলের রিপ্রেজেন্টেশন থাকবে। আমরা মনে করি সম্ভব হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমেদ ফয়েজ, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের চার মাস পর আন্দোলনকারীরা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণার বিষয়টি সামনে আনেন। শুরুতে সরকার থেকে বলা হয়, এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটিকে যেন একটি বেসরকারি উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরপর ৩০শে ডিসেম্বর সরকার জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা প্রস্তুতের কথা জানায়। ছাত্ররা সরকারে আস্থা রেখে বিপ্লবের ঘোষণা থেকে সরে আসে। কিন্তু এর জন্য সরকারকে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেন ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *