সত্যের খোঁজে আমরা প্রতিটা মুহূর্তে সীতাকুণ্ডের অগ্নিকাণ্ড সামনে দাও দাও করে জলছে।
ওখানকার আহাজারি দেখে প্রতিমুহূর্তে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
কোনো কাজেই মন বসছে না কল্পনা না করতেই চোখে জল ভাসছে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটুক এটা কেউই প্রত্যাশা করে না।
সবই সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছা।
যেই মানুষগুলো হাজারো স্বপ্ন বুকে লালন করে জীবন যুদ্ধের ময়দানে সবার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে যুদ্ধ চালিয়ে যান অবিরাম, কোন যোদ্ধাই জানেন না যে তার যুদ্ধ অসমাপ্ত রেখেই পরাজয় বরণ করতে হবে।
বরণ করতে হবে স্বপ্ন দেখা মানুষগুলোর চোখের নোনা জল।
বরণ করতে হবে অবুঝ শিশুর শব্দবিহীন নিরবতার কান্নার আওয়াজ।
বরণ করতে হবে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের নকশা বিহীন খাট পালঙ্ক।
বরণ করতে হবে সাজসজ্জা ও সেলাই বিহীন বিদায়ী গিফট পেপার।
যুদ্ধ থেমে যাবে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হবে এগুলো তাকে নীরবে বরণ করতে হবে কোন যুদ্ধাই এমনটা কখনও ভাবেনা।
তাই আসুন আমরা সকলে দাঁত থাকতে দাঁতের কদর করি।
আজ যারা নিহত এবং আহত হয়েছেন হয়তোবা আমরা অনেকেই কাউকেই চিনিনা কিন্তু যেহেতু আমরা মানুষ অচেনা হলেও সকলেই আমার হৃদয়ের স্পন্দন আমার দেহের একটা অংশ।
যারা অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন আল্লাহ তাদের হয়তোবা মাফ করে দিবেন,
কিন্তু কেউ যদি নিহত ব্যক্তির সাথে অমানবিক খারাপ আচরণ করে থাকে অন্যায় জুলুম অত্যাচার করে থাকে তাহলে যেই জীবিত ব্যক্তি খারাপ আচরণ করল সেতো আর মৃত্যু ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পেলোনা তাহলে এখন জীবিত ব্যক্তির অবস্থা কি হবে?
তাই আসুন আমরা যে যেখানে জীবন যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করে যাচ্ছি সকলেই একে অপরের আন্তরিক সহযোদ্ধা হই,
সকলেই সকলের মান মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করি,
অর্পিত দায়িত্বে ভুল ত্রুটি হলে সংশোধন করে সহমর্মিতা দেখিয়ে আদর্শ যুদ্ধের ময়দান গড়ি ।
হয়তোবা আপনি আমার রক্তের সম্পর্কের কেউই না,
কিন্তু যদি কোনদিন আল্লাহ আমাকে কোনো বিপদে ফেলে দেন তাহলে সেদিন হয়তো বা আপনিই আমার জন্য সবচেয়ে বেশি কাঁদবেন
আর একজন মানুষ তো, তখনই কেউ কারো জন্য কাঁদে, যখন নাকি কেউ কাউকে হৃদয়ের গভীরে জায়গা করে দেয়।
তাই কেউ চলে যাওয়ার পরে যে কাঁদাটা কাঁদতেন শেষ বিদায়ের কাঁদার আগে আপনার সহ যোদ্ধা জীবিত থাকা অবস্থায় যুদ্ধের ময়দানে তাকে একটু যুদ্ধ করার সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে দিন তাতে আপনি এবং সে দুজনেই দু’জাহানে সুখ-শান্তি পাবেন , ইনশা’আল্লাহ।