সামগ্রীসহ ৫৩ জুয়াড়ি।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন পোর্ট কানেকটিং হালিশহর মার্ট এর উত্তর পাশে নবাব টাওয়ারের ০৩ তলায় রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে অনেক লোক সমেবত হয়েছে,উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ জুন ২০২২ ইং তারিখ ২২১০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলারত অবস্থায় ৫৩ জনকে আটক করে।
আটককৃত আসামী ১। মোঃ ফেরদৌস আলম (৫৭), পিতা- মৃত আব্দুর সাত্তার, ২। মোঃ দিদারুল আলম (৫০), পিতা- মৃত ফজলুল করিম, ৩। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৪১), পিতা- মোঃ নুর আউয়াল, ৪। মোঃ শাহাবুদ্দিন (৬২), পিতা- মোঃ হুমায়ুন কুদ্দুস, ৫। মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৬৬), পিতা- মৃত হাজী মফিজ আলী, ৬। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪০), পিতা- মোঃ সুফিয়ান, ৭। মোঃ আলা উদ্দিন (৫০), পিতা- মৃত আবুল কাশেম, ৮। মোঃ শহিদ উল্লাহ (৪৭), পিতা- মৃত আব্দুল মালেক, ৯। মোঃ জাকির হোসেন (৫৩), পিতা- মৃত আনোয়ার হোসেন, ১০। মোঃ তাওহিদুল মাওলা (৫১), পিতা- মৃত ফরিদ উল্লাহ মাওলা, ১১। গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ (৫৯), পিতা- মৃত জাফর আহম্মেদ, ১২। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫২), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, ১৩। মোঃ আব্দুস সালাম (৭২), পিতা- মৃত বাদশা মিয়া, ১৪। মোঃ জাকির হোসেন (৬৪), পিতা- মৃত আবু বক্কর আহম্মদ, ১৫। মোসাদ্দেক (৫৮), পিতা- শামছুল হুদা, ১৬। সুধীর দাস (৭২), পিতা- মৃত এনবি দাস, ১৭। নোমান (৪৮), পিতা- মৃত দেওয়ান আব্দুল, ১৮। কাজী মোঃ জাকারিয়া (৫৬), পিতা- মৃত কাজী হাসমত আলী, ১৯। মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৮), পিতা- মোঃ দাউদ সিকদার, ২০। মোঃ সাইফুল আজম (৪২), পিতা- সিরাজুল ইসলাম, ২১। মোঃ ফজলুল করিম (৫৪), পিতা- মৃত হাজী শাহজাহান মিয়া, ২২। মাহফুজজুর রহমান (৪৫), পিতা- মৃত অহিদুর রহামন, ২৩। মোঃ হেলাল উদ্দিন (৬০), পিতা- মৃত রতন ব্যাপারী, ২৪। মোঃ বাবু (২৭), পিতা- মোঃ ইমাম আলী শেখ, ২৫। মোঃ শামসুল ইসলাম (৫৩), পিতা- মৃত আব্দুর রাজ্জাক, ২৬। উৎপল চৌধুরী (৪৬), ২৭। রবি শংকর (৪৩), পিতা- মৃত জলধির মল্লিক, ২৮। মোঃ জসিম (৩৭), পিতা- মৃত আবু, ২৯। মোঃ সোহরাফ হোসেন (৪২), পিতা- মৃত আব্দুল হাই, ৩০। কাজী মোজাহিদুল ইসলাম @ নওশাদ (৫২), পিতা- মৃত কাজী আনসারুল হক, ৩১। মহিউদুল্লা @ কাজল (৫৭), পিতা- মৃত সিরাজ দৌলা, ৩২। মোঃ আরিফুল ইসলাম (৪২), পিতা- মৃত শাহাজাহান, ৩৩। মোঃ ওহিদুর রহমান (৬৩), পিতা- মৃত শাহাদাৎ হোসেন, ৩৪। মোঃ আমিরুল ইসলাম (৬২), পিতা- মৃত ইশাত আলী, ৩৫। গোলাম রসুল (৬২), পিতা- মৃত আব্দুল আওয়াল, ৩৬। আব্দুর রশিদ (৪৭), পিতা- অহিদুর রহমান, ৩৭। মোঃ নুরুল ইসলাম (৬৪), পিতা- মৃত হারুনুর রশিদ, ৩৮। মাহবুব নবী চৌধুরী (৫৭), পিতা- মৃত নুরুন নবী চৌধুরী, ৩৯। মোঃ ফরিদ (৪২), পিতা- মৃত জালাল আহম্মদ, ৪০। আব্দুর শুক্কুর (৫৫), পিতা- মৃত নজু মিয়া, ৪১। মোঃ আবুল হাসান (৩২), পিতাঃ মৃত আবুল বাশার, ৪২। মোঃ শহীদুল ইসলাম সাগর (২৪), পিতাঃ আব্দুল জলিল, ৪৩। মোঃ সুমন চৌধুরী (৩৫), পিতাঃ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, ৪৪। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫০), পিতাঃ মৃত ইউনুছ, ৪৫। মোঃ ওমর ফারুক (৫২), পিতাঃ মৃত রফিকুল ইসলাম, ৪৬। মোঃ সোহাগ (১৯), পিতাঃ মৃত আবুল কালাম, ৪৭। মোঃ জসীম (২৩), পিতাঃ মোঃ শীপন, ৪৮। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫৭), পিতাঃ মৃত ইউসুফ আলী, ৪৯। মোঃ রফিকুল হাসান (৩৯), পিতাঃ আব্দুল জলিল, ৫০। আশীষ গুহ (৫৫), পিতাঃ মনীন্দ্রলাল, ৫১। মোঃ রেজাউল মাওলা (৪২), পিতাঃ মোঃ ছানাউল্লাহ, ৫২। মোঃ মনির আহম্মদ চৌধুরী (৬৫), পিতাঃ মৃত মোসলেম মিয়া চৌধুরী, এবং ৫৩। মোঃ মঞ্জুর আলম (৫৮), পিতাঃ মৃত আব্দুল গফ্ফার। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা বিভিন্ন রুম হতে এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় তাস ১৫৫ সেট, জুয়া খেলার চিপ ৪৩০টি (বিভিন্ন রংয়ের) এবং নগদ ৩,৬৯,৯৯০/- টাকা উদ্ধার সহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এই ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা হয়ে আসছিল,তারা বেট করতে প্লাষ্টিকের চিপ ব্যবহার করত,তাদের ম্যানেজারের কাছ থেকে অর্থপ্রদান বা ঋণের মাধ্যমে সেই চিপ কিনতে হতো,এই চিপের দাম ৫০০০ টাকা থেকে পরিবর্তিত হয়ে সর্বোচ্চ মূল্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতো,এলাকার যুবসমাজ এই অবৈধ অর্থের প্রলোভনে পড়ে এই ক্যাসিনো ও জুয়া খেলায় জড়িয়ে যেত এবং অনেকে সর্বসান্ত হতো।
গ্রেফতারকৃত আসামীগণ এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।