সত্যের খোঁজে আমরা
বেঁচে জানালেন কারণ
স্টাফ রিপোর্টার।।
কুমিল্লায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী বেবী বেগমের বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় একটি চলন্ত ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বেবী বেগম। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার সকাল থেকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কথা হয় বেবীর ভাই মোঃ হাসানের সাথে। তিনি জানান, দেড় বছর পূর্বে বেবীর স্বামী নগরীর শাসনগাছা এলাকার হেলাল উদ্দিন তাকে ছেড়ে চলে যান। তবে তাদের ডিভোর্স হয়নি। এরপর থেকে তিনি ৬ বছরের শিশুপুত্র নেওয়াজকে নিয়ে বাগিচাগাঁও এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন। তাদের বাবা কয়েক বছর আগেই মারা যান। অভাবের সংশারের টানাটানি ও সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত বেবী এর আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা বেবী বেগম জানান, স্বামী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসি। অভাবের সংসার, ভাইবোন ও সন্তানের খরচ চালানো এবং তাদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় আসলে আর কিছু ভালো লাগে না। তখন মনে হয় মরে যাওয়া-ই ভালো। এজন্য ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছিলাম।
কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, আমরা আহত অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছি। সকালেও দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি ভালো আছেন। তবে বাম পায়ে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন।