মোঃ কামাল হোসেন,বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের জিয়েডাঙ্গা বাজারে গড়ে উঠেছে ভূয়া কবিরাজ ও ভূয়া হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পসরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডাক্তার নামে কবিরাজের আস্তানায় প্রায়ই ২০/২৫ জন মহিলা পুরুষের ভিড়। সেখানে বসে আছে কবিরাজ মোঃ আঃ আজিজ সরদার ও মজিদ মোল্লা, দু’জনের বয়স আনুঃ ৭০/৭৫ বছর, এরা ভন্ডামি করে বহু এলাকার মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা লুটে নিচ্ছে। লক্ষ্য করে দেখা যায়, বিভিন্ন ঝাড়ফুঁক সহ জ্বীনে আছর ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করছে। তার ঐ ঘরে বিভিন্ন প্রকার নামে বে-নামে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ মজুদ করা, তার মধ্যে বেশিরভাগ ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণ যা সাধারণ মানুষ সেবন করলে যে কোন সময় মৃত্যু হতে পারে। আরো দেখা যায়, ঐ ভূয়া কবিরাজের একজন সহকারী জ্বীন ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত। তিনি বিভিন্ন বেশে কখনো মানুষকে গালাগাল করছে আর ঝাড়ফুঁক করছে। আর মোঃ আঃ আজিজ কবিরাজ সব রোগিদের হাত দেখছে।
এবিষয়ে উপজেলার জিয়েডাঙ্গা গ্রামের মৃত তকিম সদরদারের ছেলে ভূয়া কবিরাজ ও ডাক্তার মোঃ আঃ আজিজ সরদারের কাছে তার কর্মকান্ডের বৈধতার কাগজ পত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন কাগজপত্র নেই, আমি এই কবিরাজি করে সংসার চালাই। তার সাইনবোর্ডে ডাঃ লেখা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন ভুল হয়েছে, সব ঠিক করে ফেলবো। ঝাড়ফুঁক জ্বীন ছাড়ানো, জ্বীনে আছর করা ব্যক্তি উপজেলা ধলিরগাতি গ্রামের মৃত- মোজাম মোল্লার ছেলে মজিদ মোল্লার কাছে এই সব ভন্ডামি কর্মকান্ড কেন করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানিনা, সব জানে ঐ কবিরাজ আঃ আজিজ, সেই আমাকে দিয়ে ঐ সব করায়। এলাকার অনেকে বলেন ঐ কবিরাজ নামে ভন্ডামি করে বহু মানুষের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, আপনারা প্রতিবাদ করেননা কেন, এমন প্রশ্ন করলে অনেকে বলেন, প্রতিবাদ কি ভাবে করবো? ঐ ভন্ড কবিরাজের লোকজন অনেক, কিছু বলতে গেলে হুমকি মারপিট করতে তেড়ে আসে। যে কারনে কেউ কিছু বলেনা, আমরা গ্রামের মানুষ, সরকারি লোকেরা কি করে? তারা ঐ কবিরাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন নেয়না?
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ ওহিদুজ্জামান বলেন, এব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই, আমি একটু বাহিরে আছি, অফিসে এসে খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।